টাকা নিয়ে ছাত্র ভর্তির অভিযোগ কৃষ্ণনগরের বেশ কয়েকটি প্রাথমিক স্কুলের বিরুদ্ধে
ডিজি বাংলা ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪: টাকা নিয়ে প্রাথমিক স্তরে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির অভিযোগ উঠল কৃষ্ণনগর শহরের বেশ কয়েকটি নামকরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। ২০০৯ সালে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিংয়ের সরকার শিক্ষার অধিকার আইন চালু করেন। সেই আইনে বলা হয় ৬ থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত বয়সি সমস্ত শিশুদের বিনামূল্যে এবং বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকার সুনিশ্চিত করা প্রতিটি বিদ্যালয়ের কর্তব্য এবং দায়িত্ব। কোনভাবেই প্রাথমিক স্তরে কোন পড়ুয়ার কাছ থেকে একটি পয়সাও নেওয়া যাবে না, তারপরেও কৃষ্ণনগর শহরের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠিত এবং নামকরা প্রাথমিক বিদ্যালয় এই টাকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ। শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত মেয়েদের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাথমিক বিভাগে ভর্তির জন্য পড়ুয়া পিছু ৪০০ টাকা করে নিচ্ছে, এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাফাই, অনেক ছাত্রী পড়ে এই প্রতিষ্ঠানে। সারা বছরের ইলেকট্রিক বিল, প্রশ্নপত্র ছাপানো, সাফাই কর্মী, নিরাপত্তা রক্ষীর টাকা, সবকিছুই তো বিদ্যালয় কে বহন করতে হয়। যত টাকা খরচ হয় তত টাকা তো সরকারের কাছ থেকে পাওয়া যায় না। তাই বাধ্য হয়েই পড়ুয়াদের কাছ থেকে টাকা নিতে হয়। শহরের আরেকটি নামকরা প্রাথমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য বিদ্যালয় চালাতে গেলে বিভিন্ন ধরনের খরচ হয়। যেমন বিদ্যুৎ বিল, প্রশ্ন পত্র ছাপার খরচ, সাফাই কর্মী ও নিরাপত্তা রক্ষীর মাইনা, এছাড়াও প্রচুর কাগজপত্র, চক-ডাস্টার ইত্যাদি কিনতে হয়। সারা বছর যা খরচ হয় তার অর্ধেক খরচও সরকারের কাছ থেকে পাওয়া যায় না। তাই বাধ্য হয়েই পড়ুয়াদের কাছ থেকে আমাদের টাকা নিতে হয়। কিন্তু রসিদ কেন দেওয়া হয় না এই প্রশ্নের জবাবে নিশ্চুপ থাকেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। যদিও প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা দপ্তর থেকে স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে এমনটা যদি হয়ে থাকে তাহলে সেটা বেআইনি। নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।