সরলেন সুমিত,এলেন মেঘলাল, পরিবর্তন হলো জেলা সম্পাদকের
ডিজি বাংলা ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪: না,শেষ পর্যন্ত ঝুঁকি নেবার সাহস দেখাতে পারল না নদীয়া জেলা সিপিএম। সকলেই ভেবেছিল এবারে নদীয়া জেলা সিপিএমের জেলা সম্পাদক হবেন কোন একজন তরুণ নেতা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দল ভরসা রাখলো সেই প্রবীণ নেতৃত্বের উপরেই। চৈতন্য ধাম নবদ্বীপে দুদিনের জেলা সম্মেলনে জেলার সম্পাদক হিসাবে বেছে নেওয়া হলো দলের প্রবীণ নেতা নদিয়া জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি মেঘলাল শেখ কে। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত প্রায় ৫০০ জন প্রতিনিধির উপস্থিতিতে নির্বাচিত হলেন জেলা সম্পাদক।
বিদায়ী জেলা সম্পাদক সুমিত দে বর্তমানে দলের রাজ্য কমিটি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কেউই একই সাথে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকতে পারেন না। স্বাভাবিকভাবেই জেলা সম্পাদক বদল অনিবার্য ছিল।
রবিবার সিপিএম রাজ্য কমিটির সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের উপস্থিতিতে শেষ হলো নদীয়া জেলা সিপিএমের দুদিনের জেলা সম্মেলন। তবে একটা বিষয় লক্ষ্যণীয় জেলা সম্পাদক প্রবীণ হলেও ৬০ জনের যে জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে সেই কমিটির অধিকাংশ সদস্যই বয়সে অনেকটাই তরুণ। আসলে সিপিএমের জেলা নেতৃত্ব প্রবীণ এবং নবীনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখেই আগামী দিনে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে বলে জানালেন জেলা কমিটির এক প্রবীণ সদস্য। বস্তুত বর্তমানে নদিয়া জেলা সিপিএমের সংগঠন অনেকটাই ক্ষীয়মান। জেলা পরিষদে নির্বাচিত কোনো সদস্য নেই, জেলায় কোন এমএলএ নেই। একটি বা দুটি গ্ৰাম পঞ্চায়েতে ক্ষমতা দখল করে কোন রকমে লালবাতি টিকিয়ে রেখেছে। সার্বিকভাবে জেলা সিপিএম প্রায় অস্তিত্বহীন বলা যেতে পারে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এই জেলা কমিটি কতটা সংগঠিত হয়ে দলের পুনরুজ্জীবন ঘটাবে সেই বিষয়টাই এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে দলীয় নেতৃত্বের সামনে।