ডিজি বাংলা ২ জানুয়ারি ২০২৫: ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যের মূলধারা হলো চারটি। এগুলো হলো যথাক্রমে কত্থক, কথাকলি, মনিপুরী এবং ভারতনাট্যম। ভারতনাট্যম মূলত দক্ষিণ ভারতের প্রচলিত বিখ্যাত নৃত্যশৈলী। কথিত আছে এই নৃত্য শিব ও বিষ্ণুকে উদ্দেশ্য করে গড়ে উঠেছিল। ২০০০ বছরের প্রাচীন এই নৃত্য মূলত মহিলাদের জন্য মন্দির নৃত্য। ভারতনাট্যম যার আক্ষরিক অর্থ হলো ভাব যা আবেগ এবং অনুভূতি রাগ সুর ও তালের সৃষ্টি। এই নৃত্যের মাধ্যমে হিন্দু ধর্মীয় গল্প ও ভক্তি প্রকাশিত হয়। ভারতনাট্যম পূর্বে সাধীরাট্টম নামে পরিচিত ছিল। তাঞ্জোরের নট বানদের হাতে এই নাচের বতমান রূপে গড়ে ওঠে।
এই নৃত্যে শাড়িকে পায়জামার মতো পরিধান করতে হয়। অলংকারও বেশ ভারী।
এই দক্ষিণ ভারতীয় নৃত্য ভারতনাট্যমকে সাতটি ভাগে বিভক্ত করা হয়। পুষ্পাঞ্জলি: শুরু হয় নর্তকীদের দেবতাদের ফুল প্রদান এবং তাদের আশীর্বাদ গ্ৰহণ। আলারিপ্পু: এর মাধ্যমে নর্তকের শরীর ও মনকে অনুসরণ করা হয়। জাতিস্বরম: এই অংশে নর্তকীরা গানের কথা বর্জিত এবং জটিল ছন্দবদ্ধ নির্দেশের ওপর কাজ করে। শব্দম: এর মাধ্যমে নর্তকীরা আবেগ প্রকাশ করতে শুরু করেন। বর্ণম: নাচের এই পর্মাযে অভিনয়ের মাধ্যমে নাচকে উচ্চপর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়।পদম: এর মাধ্যমে হাত দিয়ে অঙ্গভঙ্গিরএবং প্রেম বা ভক্তির ভাব প্রকাশ করে। তিল্লানা: নাচের এই পর্যায়টি হল নৃত্য শেষ করার একটি প্রাণবন্ত আনন্দময় উপায়।
রুক্মিনী দেবী আরুন্ডলে ,আলরমেলে ভাল্লী, কৃষ্ণমূর্তি ইয়ামিনি প্রমুখ্য নৃত্যশিল্পীরা এই ভারতনাট্যম নৃত্যকে সঙ্গী করে জীবনে এগিয়ে গেছেন। এরাই আজ দক্ষিণ ভারতের পুরাতন নৃত্যকে ধরে রেখেছেন ।
আধুনিক প্রজন্মের নারী-পুরুষ পেশার স্বার্থে আজ আর নাচকে সেভাবে গ্রহণ করছে না। ফলে ভারতবর্ষের অনেক প্রাচীন ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে।
