রাজ্যজুড়ে পালিত হল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবস
ডিডিজিজি বাংলা ২ জানুয়ারি ২০২৫: ২৭ পেরিয়ে ২৮-এ পদার্পণ তৃণমূল কংগ্রেস। গতকাল ১ জানুয়ারি ছিল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবস।বিভিন্ন কর্ম সূচি ও অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সারা রাজ্য ব্যাপী তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ কর্মী সমর্থক থেকে শুরু করে সর্বস্তরের নেতা-নেত্রীরা এই দিনটিকে পালন করে।১৯৯৮ সালে তৎকালীন বঙ্গ রাজনীতির অগ্নিকন্যা জাতীয় যুব কংগ্রেসের লড়াকু নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার গুটিকয়েক অনুগামী নিয়ে তৈরি করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই তৃণমূল কংগ্রেস আজ মহীরুহে পরিণত হয়েছে, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয় ভারতীয় রাজনীতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাসঙ্গিকতা এবং গুরুত্ব আস্বীকার করার কোন জায়গা নেই। মা মাটি মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে পরপর তিনবার ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। টানা তিনবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্য স্তরে তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম দিবসের মূল অনুষ্ঠানটি পালিত হয় তৃণমূল ভবনে। এদিন তৃণমূল ভবনে দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংগ্রাম এবং তৃণমূল কংগ্রেস তৈরির ইতিহাস সম্পর্কে সমস্ত কর্মীদের অবহিত করতে হবে। এদিন তৃণমূল ভবনে সুব্রত বক্সির পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের নগরোন্নয়ন দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী তথা কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মন্ত্রী চন্ভদ্রিমা ট্টাচার্য, মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম মুখাপাত্র কুনাল ঘোষ।
জেলা স্তরে বিভিন্ন জেলায় দলের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা হয়। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ, দুই চব্বিশ পরগণা, নদীয়া, হাওড়া, হুগলী প্রভৃতি জেলার প্রতিটি ব্লকে ব্লকে প্রবল উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পতাকা উত্তোলন এবং বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক উৎসবের মাধ্যমে এই দিনটিকে পালন করা হয়।