দেশ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই ঘুরতে শুরু করেছে গ্রামীণ ভারতের অর্থনীতির চাকা
-
ডিজি বাংলা ২ জানুয়ারি ২০২৫: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই ঘুরতে শুরু করেছে দেশের গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা। পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপি অথবা সিপিএম কিংবা কংগ্রেস বা অন্যান্য দল স্বীকার করুক বা না করুক দেশের তাবড় তাবড় অর্থনীতিবিদ কিন্তু এক বাক্যে স্বীকার করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনকল্যাণমুখী প্রকল্প লক্ষী ভান্ডারের কারণেই আজকে গ্রামীণ অর্থনীতির অগ্রগতির পথ সুগম হয়েছে। আজ শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয় ভারতবর্ষের অন্যান্য প্রদেশেও শুরু হয়ে গেছে লক্ষীর ভান্ডার মত প্রকল্প। কোন রাজ্যে তার নাম হয়েছে “মাহাতারি বন্ধন” কোথাও বা “লাডলী লক্ষী” আবার কোন রাজ্যে “মাইয়া সম্মান”। নামে কি যায় আসে? নাম যায় হোক না কেন উদ্দেশ্য কিন্তু এক। সরাসরি গ্রামীণ মহিলাদের হাতে টাকা পৌঁছে দেওয়া।
কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন এই জনমুখী প্রকল্প “লক্ষীর ভান্ডার” চালু করেন তখন এই প্রকল্প নিয়ে অনেক ব্যঙ্গক্তি এবং কুকথা তাকে শুনতে হয়েছে। কেউ বলেছে খয়রাতি, কেউ বলেছে ভিক্ষা, আবার কেউ বলেছে টাকা দিয়ে মেয়েদের ইজ্জত কিনছে একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। অথচ আজ দেশের অন্যান্য প্রদেশের শাসকরাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথ অনুসরণ করতে চলেছেন। অনেক রাজ্য ইতিমধ্যে লক্ষ্মীর ভান্ডারের আদলে প্রকল্প চালু করে দিয়েছে।
সম্প্রতি হাউজহোল্ড কনজামশন এক্সপেন্ডিচার সার্ভে রিপোর্ট ২০২৪ প্রকাশিত হয়েছে। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে গ্রামীণ ভারতের মানুষের পণ্য ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধির মূল কারণ হলো বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষের হাতে সরাসরি নগদ টাকার যোগান। সারা ভারতের গ্রামীণ অর্থনীতির যে চিত্র ধরা পড়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে বিগত বছরের তুলনায় এই বছরে গ্রামীণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা ৩ শতাংশ বেড়েছে। বিগত বছরে সরকারি সাহায্য প্রদানের ক্ষেত্রে শীর্ষে ছিল পশ্চিমবঙ্গ এবং দ্বিতীয় ছিল ছত্রিশগড়। কিন্তু ২০২৪ সালের রিপোর্টে বলা হয়েছে এই মুহূর্তে এক নম্বরে রয়েছ ছত্রিশগড়।
পার ক্যাপিটা কনজামশন ভ্যালু নামক একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে বিগত বছরের তুলনায় এই বছরে গ্রামীণ মানুষের গড় ক্রয় ক্ষমতা ৩,৮৬০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪,২৪৭ টাকা। অর্থাৎ মানুষের গড় ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৫০ টাকার বেশি। শহরে এই বৃদ্ধির হার ১.১৭ শতাংশ। ছত্রিশগড়ে গ্রামীন এলাকায় মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে ৬.৮৬ শতাংশ। সেই নিরিখে একটু পিছিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ এলাকার মানুষের গড় ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে ৫.৩৯ শতাংশ। এইযে গ্রামীণ এলাকার মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে এর মূল কারণ হলো জনকল্যাণকর প্রকল্পের মাধ্যমে সরাসরি মানুষের হাতে টাকা পৌঁছে যাওয়া, এমনটাই মনে করছে ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্যাল কমিশন।