জেলা

মন্ডপ সজ্জা,থিম ভাবনা আর আলোক সজ্জায় সবাইকে মাতাতে তৈরি কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পূজা

দেবী ভগবতী-দুর্গা এই বাংলায় বছরে তিনবার পূজিতা হন। প্রথমবার পূজিতা হন শরৎকালে দেবী মহামায়া মহিষমর্দিনী রূপে। দ্বিতীয়বার পূজিতা হন হেমন্ত কালে জগদ্ধাত্রী রূপে এবং তৃতীয় বার পূজিতা হন বসন্তকালে দেবী দুর্গা-বাসন্তী রূপে।
দুর্গাপূজা সারা বাংলা জুড়ে পালিত হলেও জগদ্ধাত্রী পূজা কিন্তু মূলত সীমাবদ্ধ আছে কৃষ্ণনগর এবং চন্দননগরের মধ্যে। যদিও সাম্প্রতিক কালে অন্যান্য জেলাতেও জগদ্ধাত্রী পূজার প্রচলন দেখা যায়।
অতীতে শুধুমাত্র মূর্তি এবং উপাচারের মধ্যেই মাতৃ আরাধনা সীমাবদ্ধ থাকলেও ধীরে ধীরে কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পূজার চিন্তাভাবনার পরিবর্তন হয়েছে। ধীরে ধীরে মন্ডপ সজ্জার পাশাপাশি থিম ভাবনার সূচনা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন পুজো কমিটি গুলি মণ্ডপ নির্মাণের ক্ষেত্রে সাবেকিয়ানা থেকে শুরু করে বিদেশিয়ানা,সেই সাথে কল্পনার মিশ্রণে গড়ে তুলেছে এক অনন্য সাধারণ থিম ভাবনা। কোথাও স্থান পেয়েছে বৃহৎ হিন্দু মন্দির,কোথাও বা ঐতিহাসিক স্মৃতি সৌধ আবার কোথাও জায়গা পেয়েছে বিদেশের কোন  বৃহৎ সৌধ অথবা গির্জার মডেল।
ঘূর্ণির অন্যতম একটি পূজা মন্ডপ আদি ঘরামী পাড়া বারোয়ারি, যাদের এবারের থিম ভাবনা ‘অঘোরি শিব তাণ্ডব’। রাধানগর আদি বারোয়ারি এবারে তুলে নিয়ে এসেছে “রাম মন্দির”। আমিনবাজার বারোয়ারির এবারের থিম ভাবনা রোমের “ভ্যাটিকান সিটি প্যালেস”। ঘূর্ণির ভাই ভাই সংঘ এবারে তুলে ধরবে “মহীশূরের চামুন্ডেশ্বরী মন্দির”। ঘূর্ণির স্মৃতি সংঘ এবারে সামনে নিয়ে আসছে “বৈষ্ণোদেবী মন্দির”।
বিভিন্ন পুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের সাথে কথা বলে বোঝা গেল আগামী বৃহস্পতিবার এর মধ্যেই তারা মন্ডপের কাজ সম্পন্ন করতে চাইছে। কারণ রবিবারে মূল পূজা,বৃহস্পতিবার রাত থেকেই শহরে মানুষের ঢল নামবে। সুতরাং যত দ্রুত সম্ভব মন্ডপ সজ্জা, প্রতিমা সজ্জা এবং আলোর কাজ সম্পন্ন করতে না পারলে সমস্যা তৈরি হবে। সমস্ত পূজা মন্ডপেই চলছে এখন চূড়ান্ত ব্যস্ততা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button