ডিজি বাংলা ৩ জানুয়ারি ২০২৫[শুক্রবার] : মুখ্যমন্ত্রী যতই বলুন পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল আগের থেকে অনেক ভালো, বাস্তব কিন্তু সে কথা বলছে না। গতকাল নবান্ন সভাঘরের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব যে রিপোর্ট পেশ করেন তাতে দেখা যাচ্ছে সরকারি হাসপাতালে রেফার কেস ৭ শতাংশ থেকে কমে ৩ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। এই রিপোর্টটা কাগজে-কলমে। বাস্তবটা অন্যরকম। পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান স্বাস্থ্য পরিসেবার কি হাল সেটা প্রত্যক্ষ করলেন আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ মিতালী বাগ। হাসপাতালে হুইল চেয়ার না পাওয়াতে একজন মুমূর্ষু রোগীকে দীর্ঘক্ষণ এম্বুলেন্সেই শুয়ে থাকতে হলো। ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগ মেডিকেল কলেজে। গত ২৯ ডিসেম্বর খানাকুল ধরমপুরের বাসিন্দা ফতেমা বিবিকে আরামবাগ মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে ওইদিন উল্লিখিত ফাতেমা বিবির কিছু শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে বাইরে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে যায় এবং ফিরে এসে হাসপাতালের বেডে যাবার জন্য রোগীর হুইল চেয়ারের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু দীর্ঘক্ষন অপেক্ষা করে থাকার পরও হুইল চেয়ারের কোন ব্যবস্থা হয় না। বিষয়টি রোগীর পরিবারের লোকজন স্থানীয় সাংসদকে জানান। সাংসদ হাসপাতালে এসে উপস্থিত হন এবং হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করে দেন।
সাংসদ এলেন, দেখলেন, ব্যবস্থা করলেন। এটা তো কোনো সমাধান নয়। সকলের জন্যই তো আর সাংসদ এভাবে ছুটে আসবেন না।
এ বিষয়ে কি বলছেন আরামবাগ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ। অধ্যক্ষের বক্তব্য অনুযায়ী হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে হুইল চেয়ারে আছে, স্ট্রেচার আছে , স্বাস্থ্য কর্মী আছে। তারপরও এমন ঘটনা কেন ঘটলো? বিষয়টা খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।
