ডিজি বাংলা ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪: শীতের প্রকোপ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। গত পাঁচ দিন ধরে তাপমাত্রা নিম্নগামী। অন্যান্য বছর এইরকম সময় এতটা শীত অনুভূত হয় না বলেই জানাচ্ছে শহরবাসী। বড়দিনের আগে জাকিয়ে ঠান্ডা পড়ে এ কথা ঠিক কিন্তু সেই ঠান্ডা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আসে না। ঠান্ডা আসতে আসতে প্রায় ১৮-২০ তারিখ হয়ে যায়। এবারে প্রায় ১৫ দিন আগেই সেই ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে আগামীকাল শনিবার এবং পরশু রবিবার রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় বিশেষ করে দুই বর্ধমান,বীরভূম,বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়া জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। এই সমস্ত এলাকায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি নিচে নেমে আসার সম্ভাবনা আছে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে রাজ্যের আবহাওয়া দপ্তর।
এবছর ডিসেম্বরের প্রথম দিকে শীতের প্রকোপ ছিল না বললেই চলে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে উষ্ণতা বৃদ্ধি পায় এবং রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হয়। ফলে শীত থমকে দাঁড়ায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সমস্ত বাধা বিপত্তি কাটিয়ে শীত আবার স্বমহিমায় ফিরে আসে।গতকাল দক্ষিণবঙ্গের জেলা গুলির মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পুরুলিয়াতে ৮.১ ডিগ্রি। বীরভূম জেলার শ্রীনিকেতনে তাপমাত্রা ছিল ৯.২ ডিগ্রি। আসানসোলের তাপমাত্রা ছিল ১০.৮ ডিগ্ৰি। কল্যাণী (১০.৬)সিউড়ি (১০.২) রায়গঞ্জ (১০.৪) কৃষ্ণনগর (১০.২) বহরমপুর (১০.৬) বনগাঁ (১০.৪) এবং হাওড়ার তাপমাত্রা ছিল ১১.২ ডিগ্ৰি। ঠান্ডার পাশাপাশি ভোরের দিকে ঘন কুয়াশার কারণে যান চলাচলে ভীষণ অসুবিধা সৃষ্টি হচ্ছে।
দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও চলছে শৈত্যপ্রবাহ । গতকাল দার্জিলিং এর তাপমাত্রা ছিল ৩.৮ ডিগ্রি এবং কালিম্পং এর তাপমাত্রা ছিল ৯.৩ ডিগ্রি।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে আগামী কয়েক দিন এই আবহাওয়ার কোন পরিবর্তন করবে না বরং আকাশ যত পরিষ্কার হবে ঠান্ডার প্রকোপ ততই বাড়বে।
