নকশাল আন্দোলনের প্রত্যক্ষ সাক্ষী বনফুল সিনেমা হল
ডিজি বাংলা ৪ জানুয়ারি ২০২৫[শনিবার] : পূর্ব রেলের শিয়ালদা শাখার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি স্টেশন কৃষ্ণনগর সিটি জংশন। কৃষ্ণনগর সিটি জংশন স্টেশনে নামলেই সামনে একটা ছোট্ট পার্ক। সেই পার্কের সামনাসামনি দাঁড়িয়ে আছে একটা ভাঙাচোরা ভুতুড়ে বাড়ি, দেখলে মনে হবে গোডাউন। কাছে গেলে দেখা যাবে, না!ওটা কোন গোডাউন না। ওটা একটা সাইকেল গ্যারেজ।
বস্তুত, ওটা কোন সাইকেল গ্যারেজই নয়। ওটা একটা সিনেমা হল। কৃষ্ণনগর শহরের অত্যন্ত নামকরা এবং জনপ্রিয় একটি সিনেমা হল। ষাটের দশক, খাদ্য আন্দোলনে উত্তাল বাংলা। তার ঢেউ এসে পড়েছে কৃষ্ণনগর শহরে। সেই সময় কৃষ্ণনগর স্টেশন এর কাছে নির্মিত হল একটি অত্যাধুনিক সিনেমা হল। নাম দেওয়া হলো বনফুল। কিন্তু ১৯৯০ সালের পর এই সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর অসংখ্য সুপার ডুপার হিট সিনেমা দেখানোর পর আজকে সেই বনফুল পরিণত হয়েছে গ্যারেজ।
৭০ দশকের উত্তাল বাংলায় নকশাল আন্দোলনের সাক্ষী ছিল এই বনফুল সিনেমা হল। পুলিশের সোর্স পুলিশকে খবর দেয় পুলিশের হত্যাকারী জনৈক নকশাল নেতা লুকিয়ে আছে বনফুল সিনেমা হলের মধ্যে। তখন শো চলছিল। হঠাৎই পুলিশ ঢুকে পড়ে হলের ভিতর। বেধড়ক লাঠিচার্জ শুরু করে। হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। অনেকেই আহত হয়। পরবর্তীকালে শরিকি বিবাদে হল বন্ধ হয়ে যায়। আগামী দিনে হয়তো দেখা যাবে ঐ হল ভেঙ্গে ওখানে নির্মিত হয়েছে এক বহুতল আবাসন।