আর একদিন পরেই মা জগদ্ধাত্রী আসছেন, আলোকসজ্জায় মুড়ে ফেলা হয়েছে কৃষ্ণনগর।

ডিজি বাংলা ৮ নভেম্বর ২০২৪: মাঝে আর একদিন, শনিবার। তারপর পরদিন রবিবারে (১০-১১-২৪) কৃষ্ণনগর শহরে প্রবল ধুমধাম,উৎসাহ-উদ্দীপনা আর মহা আড়ম্বরের সাথে শুরু হতে চলেছে নদিয়া রাজ মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় প্রচলিত জগদ্ধাত্রী পূজা। ইতিমধ্যে উত্তর থেকে দক্ষিণ,পূর্ব থেকে পশ্চিম সমগ্র কৃষ্ণনগর শহর সেজে উঠেছে আলোকসজ্জায়। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় নির্মীত হয়েছে আলোক শোভিত তোরণ।
মন্ডপসজ্জা, আলোকসজ্জা আর থিম নিয়ে বিভিন্ন পুজো কমিটির মধ্যে শুরু হয়েছে তুমুল প্রতিযোগিতা। পরিস্থিতি এমন জায়গায় দাঁড়িয়েছে এই বলে আমায় দেখ,তো ও বলে আমায় দেখ।
কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর মূল আকর্ষণ হলো প্রতিমা সজ্জা। বেশ কয়েকটি নামকরা বারোয়ারি পুজো আছে যে পুজো গুলি মন্ডপ সজ্জা,থিম এবং আলোকসজ্জা থেকেও বেশি গুরুত্ব দেয় প্রতিমা সজ্জায়। কৃষ্ণনগরের অন্যতম সেরা এবং স্বনামধন্য পুজো চাষা পাড়া বারোয়ারির “বুড়িমা” যে প্রতিমার শরীরে থাকে কয়েক কোটি টাকার গহনা। অন্যদিকে কাঁঠালপোতার “ছোট মা” কিম্বা বাঘাডাঙ্গার “বাঘা মা” এরাও কিন্তু স্বর্ণ অলংকার ব্যবহারে কিছু কম যান না। অভূতপূর্ব প্রতিমা সজ্জা হয় ষষ্ঠী তলা বারোয়ারী,নেদিয়ারপাড়া বারোয়ারি, হাতারপাড়া বারোয়ারি,চকের পাড়া বারোয়ারি, মালোপাড়া বারোয়ারি “জলেশ্বরীমাতা” এবং গোলাপট্টি বারোয়ারি। যে সমস্ত ক্লাবগুলি থিম ভাবনায় এবার একই অন্যের সঙ্গে টক্কর দিচ্ছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে উত্তর কালিনগরের ক্লাব রেনবো,দক্ষিণ কালীনগরের ক্লাব অনন্যা,পাত্র বাজারের ক্লাব স্বীকৃতি,ঘূর্ণির ভাই ভাই সংঘ প্রভৃতি।
পুজো আয়োজকরা মনে করছেন আজ শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই হয়তো শহরে দর্শনার্থীদের ঢল নামবে।প্রশাসনও সেই মোতাবেক আজ থেকেই শহরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে এবং নো এন্ট্রি ঘোষণা করেছে।