জগদ্ধাত্রী প্রতিমা নিরঞ্জন উপলক্ষে জনপ্লাবনে ভাসছে কৃষ্ণনগর

ডিজি বাংলা ১১ নভেম্বর ২০২৪: জনপ্লাবনে ভাসছে কৃষ্ণনগর। আবেগ,আনন্দ,উচ্ছ্বাস আর সমারোহের মিলন ভূমিতে পরিণত হয়েছে মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের শহর কৃষ্ণনগর। জগৎ জননী জগদ্ধাত্রী মাতার নিরঞ্জন পর্ব আর একটু পরেই শুরু হবে কৃষ্ণনগর সংলগ্ন জলঙ্গি নদীর ঘাটে। বেলা এগারোটা থেকে শুরু হয়েছে ঘট বিসর্জন পর্ব। সুদৃশ্য ট্যাবলো, নাচ-গান সহযোগে শোভা যাত্রার মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে জলঙ্গির ঘাটে পৌঁছায় বিভিন্ন পুজো মণ্ডপের মঙ্গল ঘট। এটাই কৃষ্ণনগরের রীতি-নীতি প্রথা। এভাবেই চলে আসছে ধারাবাহিকভাবে ঘট বিসর্জন পর্ব।
এ বারের পূজোর আনন্দ,উন্মাদনা এবং সমারোহ ও আড়ম্বর বিগত বছর গুলি তুলনায় অনেকটাই বেশি এমনটাই মনে করছেন কৃষ্ণনগরের বাসিন্দারা। ঘট বিসর্জনে জনসমাগম দেখে অবশ্য সেটাই মনে হলো। নদিয়া পুলিশ জেলা প্রশাসন এবং কোতোয়াল থানা সূত্রে জানা গেল জগদ্ধাত্রী প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শহরের মূল রাস্তার প্রতিটি স্পটে পুলিশ সহ সিভিক ভলেন্টিয়ার পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখা হয়েছে। রাজবাড়ী চত্বরে প্রচুর পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে,এমনকি ঘাটে যেখানে বিসর্জন হবে সেখানে এসআই পদমর্যাদার একাধিক পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে।
কৃষ্ণনগরে প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে অশান্তি গন্ডগোল লেগেই থাকে। এমনকি কখনো কখনো মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে যায়। যদিও এ বছর কালীপুজোয় সেরকম কোন অঘটন ঘটেনি। ফলে জগদ্ধাত্রী প্রতিমা বিসর্জন পর্ব নির্বিঘ্নেই মিটবে এমনটাই ভাবছেন পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে কৃষ্ণনগরের সাধারণ মানুষ।