জেলা সভাপতি পদে পরিবর্তনের সবুজ সংকেত দিলেন নেত্রী
ডিজি বাংলা ৪ মার্চ ২০২৫: দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা চলছে। আজ নয় কাল, কাল নয় পরশু। এই ১৫ দিন পরেই হবে। আগামী মাসের ১২ তারিখে হবে। এইরকম অনেক গল্প কান পাতলে শোনা যায় নদীয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। নদিয়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর সাংগঠনিক জেলার জেলা সভাপতি পদের বদল নিয়ে এমনই গল্প ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এর আগে অসংখ্যবার বর্তমান জেলা সভাপতি এবং কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন জেলার একমাত্র মন্ত্রিসহ একাধিক বিধায়কেরা। জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ তারা লিখিত আকারে দলের শীর্ষ নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। তারা তাদের অভিযোগ পত্র পৌঁছে দিয়েছে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুব্রত বক্সির কাছে। ইতিমধ্যে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম হয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেসের মেগা বৈঠক বা রাজ্য সম্মেলন। নদীয়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি বিরোধী শিবির আশা করেছিল তৃণমূল নেত্রী এই সভা থেকে বিভিন্ন জেলার জেলা সভাপতিদের নাম ঘোষণা করবেন। কিন্তু সে রকমটি কিছু হয়নি। ফলে কিছুটা হতাশা নিয়েই সেই সমস্ত নেতা নেত্রীরা জেলায় ফিরে আসে।
সম্প্রতি তৃণমূল সূত্রের খবর রাজ্যের মোট ১২টি সাংগঠনিক জেলার জেলা সভাপতি পদে পরিবর্তন আনতে চলেছে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস। ওই ১২ টি জেলার মধ্যে নাম রয়েছে নদীয়া জেলার, এমনটাই জানা গেছে ওই সূত্র মারফত। আর এই খবরে আবারও নতুন করে উৎসাহিত হয়ে উঠেছে জেলা সভাপতি বিরোধী শিবিরের লোকজন।
উল্লেখ্য আগামী ৬ মার্চ তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির নেতৃত্বে তৃণমূল ভবনে বসছে রাজ্যের সব কটি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি এবং চেয়ারম্যানদের নিয়ে মেগা বৈঠক। যদিও ওই বৈঠকের মূল আলোচনার বিষয় ভোটার তালিকায় কারচুপি কিন্তু সংবাদমাধ্যমের একাংশের বক্তব্য ওই দিন জেলা সভাপতি পদ পরিবর্তনের ঘোষণা হলেও হতে পারে।
সংবাদ সূত্রের খবর ওই দিনের বৈঠকে ভোটার তালিকা কারচুপি সংক্রান্ত আলোচনা ছাড়াও সাংগঠনিক বিষয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে পারে।