অবশেষে স্টার থিয়েটার পরিণত হলো বিনোদিনী থিয়েটারে
ডিজি বাংলা ৬ জানুয়ারি(সোমবার) ২০২৫: নাম হবার কথা ছিল “বি-থিয়েটার” বা “বিনোদিনী থিয়েটার” অথচ নাম হল “স্টার” থিয়েটার। আজ থেকে ১৪১ বছর আগে ১৮৮৩ সালে উত্তর কলকাতার বিডন স্ট্রিটে প্রথম তৈরি হয় স্টার থিয়েটার। আর এই “স্টার” থিয়েটার নির্মাণের সাথে জড়িয়ে আছে বাংলা নাট্য জগতের দুই নক্ষত্রের নাম। প্রথমজন হলেন বাংলা নাটক এবং থিয়েটার জগতের মহীরুহ গিরিশচন্দ্র ঘোষ আর দ্বিতীয়জন হলেন বিনোদিনী দাসী বা নটী বিনোদিনী।
সেদিন বিনোদিনী দাসী বা নটী বিনোদিনীর সাথে যে ছলনা বা প্রতারণা করা হয়েছিল সেই ছলনা বা প্রতারণার পরিসমাপ্তি ঘটলো মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায়। সন্দেশখালীর সভামঞ্চ থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন “স্টার” থিয়েটারের নাম পরিবর্তন করা হবে। “স্টার” থিয়েটারের পরিবর্তিত নাম হবে “বিনোদিনী থিয়েটার”। তৎকালীন বাংলা থিয়েটার জগতের মধ্য গগনে থাকতে থাকতে অপমানিত বিনোদিনী রাগে,ক্ষোভে, দুঃখে মাত্র ২৫ বছর বয়সে রঙ্গমঞ্চ ত্যাগ করেন। পরম পুরুষ শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ বিনোদিনীর অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন। রামকৃষ্ণদেবের আশীর্বাদ ধন্য হয়েছিল বিনোদিনীর অভিনয় এবং শিল্পী সত্তা। পরবর্তীকালে বিনোদিনীর জীবন কাহিনী নিয়ে অসংখ্য যাত্রা নাটক লেখা হয়েছে। এক সময় বাংলা যাত্রা জগতের “যাত্রা লক্ষী” বীণা দাশগুপ্তের অভিনীত যাত্রাপালা “নটী বিনোদিনী” বাংলার অসংখ্য যাত্রাপ্রেমী দর্শকদের মোহিত করে।
মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় যাত্রা জগত থেকে শুরু করে থিয়েটার জগতের কলাকুশলীরা ভীষণ খুশি। আবার হয়তো আগামী দিনে বিনোদিনী থিয়েটারের হাত ধরে বাংলার থিয়েটার প্রেমী মানুষ স্বাদ পাবে অতীতের সেই থিয়েটারের।