শহর

নদী বাঁচাতে ১২ কিলোমিটার ম্যারাথনে অংশ নিল দশ বছরের সায়ন দাস,রাজু বিশ্বাসরা

ডিজি বাংলা ২১ ডিসেম্বর ২০২৪: “সেভ জলঙ্গি” বা জলঙ্গি বাঁচাও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ডাকে তিনদিনের যে মুক্তমঞ্চ পরিবেশ পথসভা শুরু হয় আজ তার দ্বিতীয় দিন। “সেভ জলঙ্গি” স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে জলঙ্গি নদীকে তার অতীত ফিরিয়ে দেবার আন্দোলনে নেমেছে। নদীয়া জেলার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী জলঙ্গি। সেই নদী আজ মানুষের লোভ,লালসা, অত্যাচার আর অবহেলার কারণে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাবার পথে। নদী না বাঁচলে মানুষের জীবন বাঁচবে না। অথচ এই নদীকে বাঁচাবার জন্য জেলা প্রশাসন বা রাজ্য প্রশাসন এক প্রকার উদাসীন। পাশাপাশি রয়েছে জলঙ্গি থেকে বেরিয়ে আসা আরেকটি অত্যন্ত ভালোলাগার,ভালোবাসার নদী যার নাম অঞ্জনা। রবীন্দ্রনাথের “অঞ্জনা নদী” যে নদী আজ নগরায়নের অভিশাপ বয়ে বেড়াচ্ছে। “অঞ্জনা” আজ আর “অঞ্জনা নদী” নামে পরিচিত নয়, সেই নদী আজ পরিণত হয়েছে নিকাশি নালায়। “জলঙ্গি” আর “অঞ্জনা” এই দুটি নদীকে বাঁচাবার স্বার্থে আজ ৮ থেকে ৮০ আজ সকলেই পথে নেমেছে। “অঞ্জনা” “জলঙ্গি” বাঁচাবার জন্য আজ ম্যারাথনে অংশ নিয়েছে ১০ বছরের খুদে বাদকুল্লার সায়ন দাস,রাজা বিশ্বাসরা। বাদকুল্লা অনামি ক্লাবের উদ্যোগে “অঞ্জনা বাঁচাও” অভিযানে নেমেছে বাদকুল্লার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে, স্কুল কলেজ এমনকি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর ছাত্র-ছাত্রীরা। তারা বাদকুল্লা বাজার থেকে  র‍্যালি করে এসেছে কৃষ্ণনগর পোস্ট অফিস মোড়ে শুধুমাত্র প্রশাসনের কাছে এই কথাটা পৌছে দিতে যেভাবেই হোক অঞ্জনা কে বাঁচাতে হবে। “অঞ্জনা নদী বাঁচাও” আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা বাদকুল্লা অনামি ক্লাবের সম্পাদক হিমাদ্রি পাল বললেন,” দীর্ঘদিন ধরে তারা “অঞ্জনা” কে বাঁচাবার জন্য আন্দোলন করছেন। ইতিমধ্যে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে তারা তাদের দাবি পেশ করেছেন। তিনি একথা স্পষ্ট করলেন যতদিন না পর্যন্ত “অঞ্জনা”র স্বাস্থ্য উদ্ধার হবে, “অঞ্জনা” তার পুরনো স্রোত ফিরে পাবে ততদিন তাদের আন্দোলন চলবে।” আগামীকাল এই পথসভার শেষ দিন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button