জেলা

সধবার বিধবা ভাতা, তদন্ত শুরু করল শান্তিপুর ব্লক অফিস

ডিজি বাংলা ৮ জানুয়ারি ( বুধবার)২০২৫: ভাতার টাকা পাচ্ছেন না, এই বিষয়টি জানতে ব্লক অফিসে গিয়েই ফেঁসে গেলেন সধবা হয়েও বিধবা ভাতা পাওয়া শান্তিপুরের বাসিন্দা সোনালী দে (পরিবর্তিত নাম)।
শান্তিপুর পৌরসভার ২১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সোনালী দে, স্বামী বহাল তবিয়তে বেঁচে আছে এবং এলাকায় একটি সাইকেল সারানোর দোকান চালায়। গত ২৭ মাস ধরে সোনালী দেবী বিধবা ভাতা পাচ্ছেন। বেশ কয়েক মাস ভাতার টাকা ঢোকা অনিয়মিত হওয়াতে সোনালী দেবী শান্তিপুর ব্লক অফিসে যান বিষয়টি জানার জন্য। সেখানেই তার এই কীর্তি প্রকাশ হয়ে পড়ে।
বিষয়টি নিয়ে সোনালী দেবীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন লক্ষীর ভান্ডারের জন্য জনৈক স্থানীয় তৃণমূল নেতার সাথে যোগাযোগ করলে ওই নেতা তাকে একটি কাগজে সই করিয়ে এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজের জেরক্স নিয়ে চলে যান। মাস কয়েক পর থেকেই তার আ্যকাউন্টে টাকা ঢুকতে শুরু করে। এতদিন তিনি জানতেন তিনি লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পাচ্ছেন। আজই প্রথম জানতে পারলেন লক্ষীর ভান্ডার নয় তিনি বিধবা ভাতা পাচ্ছেন। এর জন্য তাকে দুদফায় মোট ৩০০০ টাকা ঐ স্থানীয় তৃণমূল নেতাকে দিতে হয়েছে।
খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক চাপান উতোর। বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগ এভাবেই চলছে রাজ্যে সরকারি অর্থের নয় ছয় এবং এর পিছনে যারা কাজ করছে তারা সকলেই তৃণমূল কংগ্রেসের পদাধিকারী। গ্রামের সাধারণ লেখাপড়া না জানা মহিলাদেরকে এভাবে ভুল পথে পরিচালিত করে মোটা টাকা কামিয়ে নিচ্ছে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের একশ্রেণীর স্থানীয় নেতৃত্ব।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button