জেলা

সবকিছু ভুলে উৎসবে মাতল রাজার শহর কৃষ্ণনগর

ডিজি বাংলা ১১ নভেম্বর ২০২৪: গত বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়েছিল প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে মানুষের জমায়েত। কিন্তু বাঁধ ভাঙলো শনিবার রাতে। কৃষ্ণনগর ভেসে গেল জগদ্ধাত্রী মায়ের আবেগ স্রোতে। সাম্প্রতিক কালে কৃষ্ণনগরের মানুষ শহর কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পূজা উপলক্ষে এত মানুষের সমাগম দেখেনি। যারা প্রবীণ মানুষ, বিগত পঞ্চাশ- ষাট বছর ধরে কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত তারা বলছেন অভূতপূর্ব, কৃষ্ণনগর ভেসে গেছে জন জোয়ারে। শনিবার রাত্রে পুজোর আগের রাত শহরের বিভিন্ন রাস্তায় দেখা গেল প্রবল জনসমাগম। পা ফেলবার জায়গা নেই। পিল পিল করে মানুষ স্রোতের মতো এগিয়ে চলেছে প্যান্ডেল অভিমুখে। সত্যি সত্যিই মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের শহর কৃষ্ণনগর এবারে পরিণত হয়েছে উৎসব মুখর শহরে। আট থেকে আশি নয়, এক থেকে একশ সকলেই মেতে উঠেছে কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী প্রতিমা দর্শনে।
পুজোর দিন সকাল থেকেই শহরের রাস্তাগুলি জনতায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। বিশেষ করে পোষ্ট অফিসের মোড় থেকে চ্যালেঞ্জ মোড় পর্যন্ত,যার মাঝখানে রয়েছে কৃষ্ণনগরের সেই বিখ্যাত, সর্বজনবিদিত,আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বুড়িমা জগদ্ধাত্রী প্রতিমা। সেই প্রতিমার পুজো এবং অঞ্জলি দিতে মানুষ ঘন্টার পর ঘন্টা রৌদ্রের মধ্যে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থেকেছে। শনিবার মধ্যরাতে দেখা গেল কদমতলা ঘাট থেকে স্নান করে বেশ কয়েকজন মহিলাকে দণ্ডী কাটতে কাটতে  বুড়িমার পূজা মন্ডপে যেতে। সন্ধ্যা থেকেই ভীড় বাড়ছিল,যত রাত বেড়েছে দর্শনার্থীর সংখ্যা তত বেড়েছে,বিশেষ করে শহরের বহুল প্রচলিত পূজা মন্ডপ গুলি যেমন চাষা পাড়া বুড়িমা,বাঘাডাঙ্গা বারোয়ারি,কাঁঠালপোতা বারোয়ারি,মালোপাড়া জলেশ্বরী মা,তার সাথে সাথে বেশ কিছু প্যান্ডেলের অপরূপ গঠনশৈলী এবং সৌন্দর্য মানুষকে মাতিয়ে দিয়েছে। পুলিশ প্রশাসনও ছিল যথেষ্ট সতর্ক। ফলে এত জনসমাগমের মধ্যেও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। আজ একটু পরেই শুরু হতে চলেছে ঘট বিসর্জন। বিভিন্ন ট্যাবলো সহযোগে বারোয়ারি গুলি গান বাজনা নাচের মাধ্যমে মঙ্গল ঘট বিসর্জনের উদ্দেশ্যে হাই স্ট্রিট ধরে তারা যাবে কদমতলা ঘাটে। তারপর সন্ধ্যা থেকে শুরু হবে মাতৃ মূর্তি নিরঞ্জনের পালা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button