ডিজি বাংলা ১৬ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার),২০২৫:
ভারতবর্ষ কি বৃদ্ধদের দেশে হতে চলেছে? এমনটাই রিপোর্ট তৈরি করেছে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমীক্ষক সংস্থা ম্যাককিনসে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০৫৫ সাল নাগাদ ভারতবর্ষ বার্ধক্যের কবলে পড়তে চলেছে অর্থাৎ ভারতবর্ষের মোট জনসংখ্যায় বয়স্ক নাগরিকদের অনুপাত বাড়বে।
এই মুহূর্তে ভারতের প্রজননের হার মহিলা পিছু ১.৯৮ টি শিশু। ভারতবর্ষের জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার অনুসারে আগামী ২০৬১ সাল নাগাদ ভারত বর্ষ জনসংখ্যার শীর্ষে পৌঁছাবে। ওই সময় ভারতের মোট জনসংখ্যা হবে ১৭০ কোটি। তারপরই জনসংখ্যার হার কমতে শুরু করবে। ফলে দেশে বয়স্ক নাগরিকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। তার ফলে আর্থিক বৃদ্ধির হার ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে। এই মুহূর্তে ভারতবর্ষে কর্মক্ষম এবং অক্ষম ব্যক্তির অনুপাত ১০:১ অর্থাৎ দেশে ১০ জন কর্মক্ষম ব্যক্তি থাকলে একজন বয়স্ক নাগরিক আছেন। আগামী দিনে এই অনুপাত ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে এবং ২১০০ সালে এই অনুপাত এক মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছাবে। ফলে দেশের কর্মক্ষম নাগরিকদের উপর কাজের চাপ বাড়বে এবং অর্থনৈতিক চাপও তৈরি হবে সমানুপাতিকভাবে। এই পরিস্থিতির হাত থেকে মুক্তি লাভের উপায়ও বাতলেছে ওই সমীক্ষক সংস্থা। তাদের মতে আগামী দিনে আরো বেশি মহিলাদের কর্মক্ষেত্রে যোগদান করতে হবে। বর্তমানে ভারতবর্ষে কর্মরত মহিলার সংখ্যা ২৯ শতাংশ।
এই মুহূর্তে পৃথিবীর উন্নত দেশগুলি এই বয়স্ক নাগরিকের সংখ্যা বৃদ্ধি সমস্যায় জর্জরিত। ওই সমস্ত উচ্চ উপার্জনশীল দেশগুলির তুলনায় ভারতবর্ষের বর্তমান জিডিপি মাত্র ১৮% অর্থাৎ অতিসত্বর ভারতবর্ষের গড় মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি না হলে দেশ কঠিন অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। অথচ হাতে রয়েছে মাত্র ৩৩ বছর। এই সময়ের মধ্যেই ভারতকে ধনী রাষ্ট্রে পরিণত হতে হবে। তা না হলে ভারত বর্ষ আগামী দিনে অক্ষম বৃদ্ধদের দেশে পরিণত হবে।
।
