রাজ্য

“জ্যোতি বসু সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সোশ্যাল স্টাডিজের” নতুন ভবনের উদ্বোধন হলো

ডিজি বাংলা ১৮ জানুয়ারি (শনিবার) ২০২৫:  “জ্যোতি বসু সেন্টার ফর সোশ্যাল স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ” ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলো গতকাল (১৭/০১/২০২৫ শুক্রবার) নিউটাউনে। গতকাল ছিল রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর ১৫ তম প্রয়াণ দিবস। ২০১০ সালের ১৭ জানুয়ারি ৯৫ বছর বয়সে ইহলোক ত্যাগ করেন ভারতবর্ষের প্রথম বামপন্থী মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। তাঁরই প্রয়াণ দিবসে তাঁর নামে নামাঙ্কিত গবেষণা কেন্দ্রের উদ্বোধন করল রাজ্য সিপিএম। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের সর্বভারতীয় প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক তথা বর্তমান পলিটব্যুরো কো-অর্ডিনেটর প্রকাশ কারাত। উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মোঃ সেলিম, বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, রবীন দেব। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, প্রবীণ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য, জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগাঁওয়ের  বিধায়ক মোঃ ইউসুফ তারিগামি, রাজস্থানের সিকারের সাংসদ অমরা রাম, সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, সুভাষিনী আলি প্রমূখ। আমন্ত্রিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি থাকার কারণে তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন।
এই ভবন উদ্বোধনে সবচেয়ে চোখে পড়ার মতো বিষয়টি হলো ভবনের উপরে দলের পতাকা বাদ দিয়ে জাতীয় পতাকা টাঙানো হয়েছে। অথচ বামপন্থীরা কোনদিনই স্বাধীন ভারতের তেরঙ্গা পতাকাকে সেভাবে সম্মান দেখায়নি। জ্যোতি বসুর মৃত্যু হলে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তার দেহ জাতীয় পতাকা দিয়ে ঢাকার পরিবর্তে দলীয় পতাকা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। সুতরাং জ্যোতিবাবুর নামাঙ্কিত ভবনের মাথায় উড়তে থাকা জাতীয় পতাকা দেখে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল কংগ্রেস।
জ্যোতি বসুকে “প্রধানমন্ত্রী” হতে না দেওয়ার মুখ্য কারিগর তৎকালীন সিপিএমের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাতের মুখে জ্যোতি বসুর ঢালাও প্রশংসা শুনে অনেক সিপিএমের কমরেডকে মুচকি মুচকি হাসতে দেখা যায়।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রবীণ সিপিএম নেতা তথা বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, “জ্যোতি বসুর ভাবনা আগামী দিনে ছড়িয়ে দেবার কাজ করবে এই কেন্দ্র।” সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মোঃ সেলিম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ” পশ্চিম এশিয়ায় যখন গণতন্ত্রকে শেষ করা হচ্ছে, উগ্র দক্ষিণপন্থা সর্বত্র সেই প্রয়াস চালাচ্ছে। আমাদের আরও গভীরে যেতে হবে। জানত হবে সমাজের চিত্র। ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গঠনে লড়াইয়ের জন্য জ্যোতি বসু সমাজ বিজ্ঞান ও গবেষণা কেন্দ্র সে কারণেই জরুরী।”

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button