দলে মীরজাফরদের জায়গা হবে না, হুংকার দিলেন মহুয়া মৈত্র
ডিজি বাংলা ২২ জানুয়ারি ২০২৫: বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে এক ভয়ংকর চাপের নির্বাচন। বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া, সংবাদ মাধ্যম এবং রাজনৈতিক বোদ্ধারা একপ্রকার স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জামানা শেষ হয়ে গেরুয়া জামানা আসতে চলেছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল ২০০ আসনের হুংকার দিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি থমকে গেল ৭৭ আসনে। আবারও আসতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। এবারে ফলাফল কি হবে? এবারও কি ২০০ টার্গেট নিয়ে আসরে নামে বিজেপি? সে যাই হোক, ইতিমধ্যে কিন্তু ঘর গোছাতে শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তারই প্রস্তুতি পর্ব দেখা গেল গত সোমবার (২০-০১-২০২৫) কালিগঞ্জ বিধানসভার জুরানপুর এবং গোবরা পঞ্চায়েতে পরপর দুটি কর্মী সম্মেলন থেকে। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কৃষ্ণনগর লোকসভার সাংসদ তথা তৃণমূলের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মহুয়া মৈত্র।
কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের আভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। বিভিন্ন সময় এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ফলে কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে যে কেন্দ্রের অভ্যন্তরে রয়েছে কৃষ্ণনগর পৌরসভা যে পৌরসভায় ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস সেই এলাকায় বিগত লোকসভা নির্বাচনে অত্যন্ত বিশ্রী ভাবে পরাজিত হন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। ফলে আগামী দিনে আর কোন দল বিরোধী কাজ বা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বরদাস্ত করা হবে না বলে স্পষ্টই হুঁশিয়ারি দিলেন জেলা সভাপতি।
ইতিমধ্যে জেলা সভাপতি পরিবর্তন হবে এরকম একটা আলোচনা যখন চলছে সেই পরিস্থিতিতে দলীয় কর্মীদের এভাবে সতর্ক করা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।