টোটো-অটোর দাপটে নদীয়ার অসংখ্য রুটে বন্ধ হয়ে গেছে বাস চলাচল
ডিজি বাংলা ২৩ জানুয়ারি ২০২৫: টোটো-অটোর উৎপাতে একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে প্রত্যন্ত গ্রামের বাস রুট। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। কৃষ্ণনগর থেকে করিমপুর ভায়া নতিডাঙা, বছর দুয়েক আগেও এই রুটে সারা দিনে বাস চলত ২৪ টি বর্তমানে ওই রুটে বাসের সংখ্যা মাত্র ১ টি। ওই এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ কাছাকাছি বাজার করতে হলে যেতে হয় করিমপুর এবং দূরত্ব প্রায় ১০ কিলোমিটার। বাস থাকলে যেখানে খরচা পড়তো মাত্র ১০ টাকা সেখানে টোটো বা অটো ভাড়া দিতে হয় প্রায় ৩০ টাকা। সম্প্রতি পলাশী-বেতাই রুটে টোটো-অটো নিয়ন্ত্রণের দাবিতে বাসমালিক সমিতির পক্ষ থেকে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। মালিকপক্ষের অভিযোগ টোটো চালকদের অত্যাচারে রাস্তায় বাস চালানো এক প্রকার অসম্ভব। এমনিতেই বাসে সারাদিন যে আয় হয় তাতে বাসের খরচা এবং স্টাফেদের মাইনে দিয়ে মালিকের কিছুই থাকেনা বললেই চলে। তারপরও যদি এই টোটো উৎপাত হয় তাহলে আর বাস ব্যবসা করা যাবে না বলেই জানালেন জনৈক বাস মালিক।
কৃষ্ণনগর থেকে মাজদিয়া রুটে ভাজনঘাট-বানপুর-গেদে পর্যন্ত বাস চলাচল করত। অন্যদিকে খাল বোয়ালিয়া-জয়ঘাটা এমনকি শিমুলিয়া পর্যন্ত বাস যাতায়াত করত। এই সমস্ত পকেট রুট বন্ধ হয়ে গেছে টোটো-অটোর উৎপাতে। ফলে বাসে যেখানে ভাড়া লাগতো দশ টাকা এখন সেখানে ভাড়া গুনতে হচ্ছে ৩০-৪০ এবং কোথাও কোথাও ৫০ টাকাও ভাড়া গুনতে হচ্ছে।
সরকার নির্দেশিকায় বলা আছে টোটো বা অটো কখনোই জাতীয় সড়ক দিয়ে চলতে পারবে না।অথচ সরকারি নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে টোটো চালকরা জাতীয় সড়কে যাত্রী নিয়ে দুর্বার গতিতে টোটো চালিয়ে যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে নিয়ম রক্ষার তাগিদে ট্রাফিক পুলিশ টোটো আটকায় বা টোটো চালকদের জাতীয় সড়কে টোটো চালাতে বাধা দেয়। দু চার দিনের এরকম চলার পরে আবার পরিস্থিতি আগের মতই হয়ে যায়। পাশাপাশি নদীয়া জেলার বিভিন্ন পৌরসভা গুলির অভ্যন্তরে যেভাবে টোটোর পরিমাণ বেড়েছে তাতে করে আগামী দিনে রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলা এক প্রকার অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে, এমনটাই মনে করছেন শহরবাসীদের একাংশ।