মেদিনীপুর আসনে জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল প্রার্থী সুজয় হাজরা।
ডিজি বাংলা ২৫ অক্টোবর: যতদূর চোখ যায় ততদূর শুধু মানুষ আর মানুষ,সবুজ পতাকা,সবুজ বেলুন তার সাথে বাজনা আর স্লোগান। এই সব কিছুকেই পাথেয় করে হাজার হাজার মানুষের মিছিল নিয়ে মেদিনীপুর বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুজয় হাজরা। এই মনোনয়নপত্র জমা দেবার মিছিল দেখেই চোখ কপালে উঠেছে বিরোধী দলগুলোর। কে ছিলেন না এই মিছিলে? রাজ্যের মন্ত্রী থেকে শুরু করে জেলা পরিষদের সভাধিপতি,ব্লক সভাপতি,অঞ্চল সভাপতি সকলেই এই মিছিলের পুরো ভাগে থেকে প্রমাণ করে দিলেন মেদিনীপুর আসনে নিশ্চিত জয় পাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী।
২০১৬ সালে প্রথম তৃণমূল কংগ্রেস মেদিনীপুর আসনে জয়লাভ করে। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মৃগেন্দ্রনাথ মাইতি সিপিআই প্রার্থী সন্তোষ রাণাকে প্রায় ৩০ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। ২০২১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা প্রার্থী জুন মালিয়া এই কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি ৫০.৭২ শতাংশ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির শমিত দাস কে পরাজিত করেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জুন মালিয়া। তিনি নির্বাচিত হবার পর মেদিনীপুর বিধানসভা আসন থেকে পদত্যাগ করেন। তারই ফলে এই কেন্দ্রে পুনরায় নির্বাচন হচ্ছে।
মেদিনীপুর বিধানসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী করেছে শুভজিৎ রায় কে। অনেকেই ভেবেছিলেন এবারে হয়তো বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি এবং মেদিনীপুরের প্রাক্তন সাংসদ দিলিপ ঘোষ মেদিনীপুর আসনে বিজেপির টিকিট পাবেন। অন্যদিকে বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের এবারে কোনরকম জোট হচ্ছে না। কংগ্রেস এই আসনে প্রার্থী করেছে শ্যামল কুমার ঘোষকে। বামফ্রন্টের তরফে এই আসনটি সিপিআইকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে কারণ এটি বরাবরই সিপিআই এর আসন ছিল। সিপিআই প্রার্থী করেছে মনিকুন্তল খমরুইকে।
মনোনয়নপত্র জমা দেবার পর তৃণমূল প্রার্থী সুজয় বাবু জানান মানুষের এবং কর্মীদের আবেগ দেখে তিনি আপ্লুত। তিনি আরো বলেন ভোট প্রচারে তার মূল বক্তব্যই থাকবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন, নারী প্রগতি এবং নারীর ক্ষমতায়নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদানের কথা।তিনি অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানান এই উপনির্বাচনে তিনি রেকর্ড ভোটে জয়লাভ করবেন।