ডিজি বাংলা ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫: “শান্তিপূর্ণভাবে পুজো, শান্তিপূর্ণভাবে বিসর্জন” এই শব্দগুলি যেন খুবই বেমানান কৃষ্ণনগরের পক্ষে। পুজোর বিসর্জন হবে অথচ রাস্তায় অশান্তি গন্ডগোল হবে না, দু দশজনের মাথা ফাটবে না, কিংবা কয়েকজন আশঙ্কা জনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হবে না অথবা দুই একটা প্রাণহানি ঘটবে না এটা কি করে সম্ভব কৃষ্ণনগরের পক্ষে। বরাবর এটাই হয়ে এসেছে এবং এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। গত বুধবার সরস্বতী প্রতিমা নিরঞ্জন কে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল গন্ডগোল, মারামারি এবং কাটাকাটির কারণে অশান্ত হয়ে উঠলো কৃষ্ণনগর পৌর এলাকা। আহত চারজনের দুজন বর্তমানে কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। একজন ভর্তি রয়েছে জেলা হাসপাতালে এবং অন্যজন প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছাড়া পেয়ে গেছে।
সংবাদ সূত্রে জানা গেছে ঘূর্ণি এলাকার দুটি ক্লাবের মধ্যে এই গন্ডগোল শুরু হয় এবং গন্ডগোলের মূল কারণ প্রতিমা নিরঞ্জন। মূলত ঘুর্নির তুফান সংঘ ক্লাব সদস্যদের সাথে অশান্তি শুরু হয় দাসপাড়ার বাসিন্দাদের। সূত্রের খবর দাসপাড়ার লোকেরা যখন রাস্তার উপরে দাঁড়িয়ে তাদের প্রতিমা বিসর্জনের জন্য প্রস্তুত করছে সেই সময় আচমকা তুফান সঙ্গে সদস্যরা তাদের উপর হামলা চালায়। প্রাথমিক ঘোর কাটিয়ে দাসপাড়ার লোকজন মুহূর্তের মধ্যে পাল্টা আক্রমণের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। আর এর ফলেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয়ে যায় তুমুল মারপিট। খবর পাওয়ার সাথে সাথেই কোতোয়ালি থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে হাজির হয় এবং লাঠিচার্জ করে দুই গোষ্ঠীকেই ছত্রভঙ্গ করে দেয়। দুপক্ষেরই কয়েকজন পুলিশের লাঠির আঘাতে কম বেশি জখম হয়। এখনো পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করেনি।
