প্রবল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জেলা জুড়ে পালিত হল জলঙ্গি দিবস
ডিজি বাংলা ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫: ১৭ ফেব্রুয়ারি
সোমবার বাংলার প্রকৃতি কবি জীবনানন্দ দাশের জন্মদিনে সমগ্র নদীয়া জেলা জুড়ে পালিত হল জলঙ্গি দিবস। এই উপলক্ষে কৃষনগর দ্বিজেন্দ্রলাল কলেজের সভা গৃহে সেভ জলঙ্গি এবং দ্বিজেন্দ্রলাল কলেজের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো একটি আন্তর্জাতিক মানের আলোচনা সভা যে আলোচনা সভার মূল বিষয়বস্তু ছিল নদীর পুনর্জীবন, বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ, প্লাস্টিক ব্যবহারের পরিণতি এবং বৃষ্টির জল সংরক্ষণও তার ব্যবহার।
আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন কলেজের সংশ্লিষ্ট বিভাগের অভিজ্ঞ অধ্যাপক থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞ এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকারা। গুরুত্বপূর্ণ বক্তাদের মধ্যে ছিলেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় ভূগোল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অভয় সঙ্কর সাহু, আসাননগর মদনমোহন তর্কালঙ্কার কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ অশোক কুমার দাস, বারাসাত সরকারি কলেজের ভূগোল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডঃ বলাই চন্দ্র দাস, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডঃ জয়ন্ত কুমার বিশ্বাস, জিয়াগঞ্জ শ্রীপৎ সিং কলেজের সহকারী অধ্যাপিকা ডঃ দেবযানী ভৌমিক, কৃষ্ণনগর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শ্রীমতি প্রত্যুষা দে, শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসক এবং পরিবেশপ্রেমী ডাঃ যতন রায় চৌধুরী সহ কৃষ্ণনগর তথা নদীয়া জেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। আলোচনা মঞ্চ থেকে বক্তারা আগামী দিনে পরিবেশের দূষণ এবং তার ভয়াবহতা সম্পর্কে তাদের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। কিভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়টিকে আরো বেশি মজবুত করা যায় সে বিষয়ে আলোকপাত করেন। প্লাস্টিক ব্যবহারের অপকারিতা এবং কম ক্ষতিকারক প্লাস্টিক ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া যায় সে বিষয়েও বক্তারা তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। আলোচনা সভা থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট হল নদী দূষণ রোধ, নদীকে যদি বাঁচানো না যায় কিংবা প্লাস্টিকের ব্যবহার যদি নিয়ন্ত্রণ করা না হয় এবং যেভাবে ভূগর্ভস্থ ভৌম জলের স্তর দ্রুত নেমে যাচ্ছে সেক্ষেত্রে আগামী দিনে পানীয় জলের তীব্র সংকট দেখা দেবে। এক্ষেত্রে সমাধানের একমাত্র পথ হলো বৃষ্টির জল সংরক্ষণ এবং তার ব্যবহার।
আলোচনা ছাড়াও সন্ধ্যায় বিভিন্ন জলঙ্গী নদী ঘাটে প্রদীপ জ্বালিয়ে নদীর সুস্বাস্থ্য কামনা করে এলাকার নাগরিকবৃন্দ।