নবান্নে রাত জেগে মানবিকতার নজির গড়লেন মুখ্যমন্ত্রী
ডিজি বাংলা ২৫ অক্টোবর: নবান্নের কন্ট্রোল রুমে বসে বিনিদ্র রজনী কাটালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’আতঙ্কে যখন রাজ্যের নটি জেলার কয়েক কোটি মানুষ ভয়ে থরহরি কম্পমান সেই আবহে মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে রাত জাগলেন মানবিক মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নের কন্ট্রোলরুম থেকে পরিস্থিতি অনুধাবন করে সেই অনুযায়ী বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক এবং পুলিশ কর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর সাথে এদিন বিনিদ্র রজনী কাটান রাজ্যের মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি সহ বেশ কয়েকজন উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক আধিকারিক। প্রতিমুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রী জেলা থেকে জেলাশাসকদের মাধ্যমে জেলার পরিস্থিতি সম্পর্কে খবরা-খবর নিয়েছেন এবং সেই অনুযায়ী কি কি ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সেই নির্দেশও তিনি পাঠিয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গ বিভিন্ন সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত হয়েছে। ১৯৭৮ সালে পশ্চিমবঙ্গে প্রবল বন্যা হয়। তখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন জ্যোতি বসু। মানুষ বিপদগ্রস্ত হয়েছে কিন্তু জ্যোতি বসুকে কেউ মহাকরণের বাইরে এসে মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখেনি। ২০০০ সালে রাজ্যে ব্যাপক বন্যা হয় তখনও কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে কেউ এভাবে রাত জেগে বিপর্যয় মোকাবেলা করতে দেখেনি। ২০১১ সাল থেকে ২০২৪ সাল এই দীর্ঘ সময় পশ্চিমবঙ্গের বুকে অসংখ্য বার ঝড় ঝাপটা এবং বন্যা এসেছে। প্রতিবার প্রতিমুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। শুধু মুখ্যমন্ত্রী নন, কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র ববি হাকিম কর্পোরেশনের অফিসে বসে বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছেন। বিভিন্ন জেলায় ‘দানা’ মোকাবেলার জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সেখানে বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনী প্রস্তুত আছে। এতকিছুর পরেও একশ্রেণীর সংবাদ মাধ্যম এবং বিরোধীদল মুখ্যমন্ত্রীর এই মানবিক প্রচেষ্টাকে বিভিন্নভাবে সমালোচনা করতে শুরু করেছে। আসলে মুখ্যমন্ত্রীর এই মানবিক রূপ বাংলার মানুষের কাছে এতটাই জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়িয়েছে যে বিরোধীরা কোনভাবেই সেই জায়গায় পৌঁছাতে পারছে না। তারা অযথা মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে বা কটুক্তি করে নিজেদেরকে জনবিচ্ছিন্ন করছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।