টাকার বিনিময়ে কল্যাণী এইমসে টোকেন বিক্রি

নিজস্ব প্রতিনিধি, ডিজি বাংলা: গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ উঠল কল্যাণী এইমস-এর বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর একাংশ অসাধু নিরাপত্তারক্ষীদের চক্রান্তে রোগীদের জন্য বরাদ্দ কুপন বিক্রি হয়ে যাচ্ছে,এমনকি বিজেপি বিধায়কের সুপারিশ এ গিয়েও মিলছে না চিকিৎসা। সম্প্রতি, শান্তিপুর থানার দিগনগর স্টেশন পাড়া এলাকার বাসিন্দা আল্পনা রায়, যিনি স্নায়ুজনিত কিছু অসুস্থতায় ভুগছেন বেশ কিছু দিন ধরে, তার ছেলে সুজিত রায় কল্যাণী এইমসে মায়ের চিকিৎসার জন্য সুপারিশপত্র জোগাড় করতে ছুটে যান স্থানীয় এক বিজেপি নেতার কাছে এবং তা জোগাড়ও করেন রানাঘাট উত্তর-পূর্বের বিধায়ক অসীম বিশ্বাসের থেকে ,কারণ বিধায়কের সুপারিশ নাকি কল্যাণী এইমসের বর্হিবিভাগে চিকিৎসার সুযোগ মেলে । সেই মতো আলপনা দেবীরও সুযোগ পাওয়ার কথা, কিন্তু তার কপালে চিকিৎসার বদলে জুটলো হয়রানি। আল্পনা দেবীর ছেলে সুজিতের অভিযোগ- তিনি যখন মাকে নিয়ে হাসপাতালে যান সেখানে গিয়ে কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীর কাছে কুপন চান। প্রথমেই তাঁদের কুপন দিতে অস্বীকার করা হয় এবং ঠিক তারপরেই স্পষ্টত জানিয়ে দেওয়া হয় যে লিস্টে তাদের নাম নেই। সেই সঙ্গে মা এবং ছেলেকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। কিন্তু সুজিত তা মানতে চান না তাই জোরপূর্বক তালিকা দেখতে চান ও তালিকায় তার মায়ের নাম দেখতে পান। সুজিত জানান যে ইচ্ছাকৃতভাবে রোগীর নাম বাদ দেওয়া বা বদল করা হয়। আমি নিশ্চিত ছিলাম যে,”আমার মায়ের নাম ওই তালিকায় রয়েছে কিন্তু ওরা দৃঢ়তার সুরে বলেছিল তালিকায় মায়ের নাম নেই। শুনেছি এইভাবে তালিকায় থাকা রোগীদের ভাগিয়ে দিয়ে টাকার বিনিময়ে সেই কুপন বিক্রি করে দেওয়ার একটি চক্র কল্যাণী এইমস এ সক্রিয়।” গোটা বিষয়টি জানিয়ে কল্যাণী এইমস কর্তৃপক্ষকে মেইলও করেন সুজিত। বিষয়টি নিয়ে এইমস কল্যাণীর জনসংযোগ আধিকারিক তথা চিকিৎসক সুকান্ত সরকার বলেন, “যদি কোনও রোগীর পরিজনদের অভিযোগ থেকে থাকে, তাহলে আমাদের নিজস্ব গ্রিভান্স সেলে অভিযোগ জানাতে পারেন। অবশ্যই সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। টোকেন বিক্রির অভিযোগ উঠলে তা যথেষ্ট গুরুতর। নির্দিষ্ট অভিযোগের জায়গায় যদি সেটা জানানো হয় তাহলে আমরা পদক্ষেপ নেব।”