দুই গোষ্ঠীর মারপিটে রণক্ষেত্র কৃষ্ণনগর পৌরসভা চত্বর
ডিজি বাংলা ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫: তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠল কৃষ্ণনগর পৌরসভা অফিস চত্বর। গতকাল ছিল আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস। সেই উপলক্ষে কৃষ্ণনগর পৌরসভার পক্ষ থেকে পৌরসভা অফিস চত্বরে একটি ভাষা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। যখন ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হবার মুখে সেই সময় তৃণমূল সমর্থিত কৃষ্ণনগর পৌরসভা অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী সংগঠনের সদস্যরা হঠাৎ করেই বিভিন্ন দাবীর সমর্থনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। স্লোগান পাল্টা স্লোগানে সর গরম হয়ে ওঠে অফিস চত্বর। তারপরেই আচমকা দু তরফের মধ্যে শুরু হয়ে যায় হাতাহাতি এবং পরিশেষে মারামারিতে পরিণত হয়। অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী সংগঠনের পক্ষ থেকে সমর চক্রবর্তী অভিযোগ করেন তারা শান্তিপূর্ণভাবেই চেয়ারম্যানের কাছে তাদের দাবি পত্র পেশ করবার জন্য এসেছিলেন। কিন্তু কোন রকম কারণ ছাড়াই চেয়ারম্যানের লোকজন তাদের উপর হামলা করে।
অন্যদিকে পৌরসভার চেয়ারপার্সন রিতা দাস বলেন অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের বিক্ষোভ ডেপুটেশন সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। বিকাল সাড়ে তিনটা নাগাদ অনুষ্ঠান হবার কথা ছিল অনুষ্ঠান শুরু হবার সাথে সাথেই অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী সংগঠনের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকজন অনুষ্ঠান মঞ্চের দিকে ছুটে আসে এবং মাইক ছুড়ে ফেলে দেয় এবং আচমকাই যারা এই ভাষা দিবস অনুষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত সেই সমস্ত পৌরসভার কর্মচারীদের মারধর শুরু। সবচেয়ে বড় কথা যে সকল বহিরাগতরা পৌরসভার অভ্যন্তরে এসে গন্ডগোল ও মারধর শুরু করে তারা কেউই এই পৌরসভার কর্মী নয়। তাহলে তারা কিভাবে কাদের মদতে এই ধরনের গুন্ডামি করে গেল?
যাদের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হচ্ছে সেই ২৪ এবং ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর দুই ভাই প্রকাশ দাস এবং পলাশ দাশ স্পষ্ট জানালেন তারা শুধুমাত্র গন্ডগোল হচ্ছে দেখে ছুটে এসেছিলেন। তারা মারপিটটা থামাবার চেষ্টা করেছিলেন অথচ তাদের উপরই দোষ চাপিয়ে দেওয়া হলো।
অন্যদিকে চেয়ারম্যানের বক্তব্য ২০২২ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিনি প্রায় ৮.৫০ কোটি টাকার বেশি গ্রাজুয়েটই প্রদান করেছেন এবং সেই সাথে প্রায়ই ৫০ কোটি টাকার বেশি পেনশনও তিনি মিটিয়ে দিয়েছেন।
ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে এবং লাঠিচার্জ করে বহিরাগতদের পৌরসভার বাইরে বের করে দেয়। উভয় পক্ষই একে অন্যের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।