ডিজি বাংলা ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫: বহু প্রতীক্ষিত তৃণমূল কংগ্রেসের মেগা কর্মীসভা শেষ হলো নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। এই কর্মীসভার মুখ্য বক্তা ছিলেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-নেত্রী থেকে শুরু করে প্রতিটি কর্মী সমর্থক এমনকি পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলগুলি, তৎসহ মিডিয়া অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল এই মেগা কর্মী বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী কি বলেন। আজকের বৈঠকে সাংগঠনিক বিষয়ে মূল বক্তব্য রাখেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় এক ঘণ্টার বক্তব্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ব্লু প্রিন্ট জানিয়ে দিলেন কর্মী সমর্থকদের। আজকের এই কর্মী বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বার্তা দিলেন সেই সমস্ত নেতা-নেত্রীদের যারা দলের ভিতরে থেকেও দল বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত। তৃণমূল নেত্রী এটা জানাতেও ভোলেন নি কে বা কারা এই ধরনের কাজে লিপ্ত সে সম্পর্কে নির্দিষ্ট খবর তার কাছে আছে। তারা যদি অচিরেই নিজেদেরকে সংশোধন না করে তাহলে দল তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে কোনরকম দ্বিধা করবে না। আজকের কর্মী বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী মূলত জোর দিয়েছেন বুথ সংগঠনের উপর। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন আগামী কাল থেকেই ব্লক সভাপতিদের সাথে আলোচনা করে জেলা সভাপতিদের সার্বিক সংগঠনের কাজে নেমে পড়তে হবে। অতিসত্বর বুথ কমিটি তৈরি করে ভোটার লিস্টের কাজের উপর নজরদারি করতে হবে। যে সমস্ত জেলা সভাপতিরা নির্দেশ মানতে অপারগ হবে তাদের অচিরেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।
ভোটার লিস্ট সংক্রান্ত যে সমস্ত অভিযোগ আছে সেগুলি নিয়ে রাজ্য স্তরে পর্যালোচনা হবে এবং কে কে এই দায়িত্বে থাকবেন তার একটি তালিকা ঘোষণা করেন আজকের এই কর্মী সভা থেকে।
যখনই পশ্চিমবঙ্গে ভোটের দামামা বেজে ওঠে তখনই বিজেপি তার এজেন্সি গুলোকে লেলিয়ে দেয়। মুখ্যমন্ত্রী হুংকার দিয়ে বলেন কোন এজেন্সিতে কাজ হবে না। এবারে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস কমপক্ষে ২১৫ টি আসন পাবে। বেশিও হতে পারে। বিজেপি বিগত নির্বাচনে যে আসন পেয়েছিল সেই আসনের কাছাকাছি কখনোই পৌঁছাতে পারবে না। তিনি বিজেপিকে “গেরুয়া কমরেড” বলে কটাক্ষ করেন।
আজকের সভামঞ্চ থেকে স্পষ্টতই মুখ্যমন্ত্রী ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের রণ দামামা বাজিয়ে দিলেন।
