মহাকুম্ভে গেলেন না আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত, বিতর্ক শুরু বিজেপির অন্দরে
ডিজি বাংলা ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫: অবশেষে শেষ হলো কুম্ভ মেলা। মেলার সূচনা হয় ১২ জানুয়ারি। ৪৫ দিন ধরে এই মেলা চলে উত্তরপ্রদেশের প্রয়োগরাজে। উত্তরপ্রদেশের সরকারের দাবি ১৪৪ বছর পর অনুষ্ঠিত এই মহাকুম্ভ মেলায় আনুমানিক ৭০ কোটি পুন্যার্থী পবিত্র ত্রিবেণী সঙ্গমে অবগাহন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি, গৌতম আদানী থেকে শুরু করে ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্তরের কোটি কোটি মানুষ এই ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করে পুণ্য সঞ্চয়ের লক্ষ্য পূরণ করেছেন। এবারের কুম্ভ মেলায় একটা বিষয় ভীষণভাবে লক্ষণীয়। আরএসএস থেকে শুরু করে ভারত মহাসংঘ, বজরং দল, বিশ্বেন্দু পরিষদের মত হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের কার্যকর্তারা কম বেশি প্রত্যেকেই মহা কুম্ভে অমৃত স্নান করেছেন। কিন্তু একজনের অনুপস্থিতি ভীষণভাবে চোখে পড়েছে। তিনি হলেন আরএসএসের সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। আর এই মোহন ভাগবতের অনুপস্থিতি নিয়ে শুরু হয়ে গেছে চাপান উতোর। ভারতবর্ষের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক অংশকে কুম্ভ মেলায় টেনে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিন্দুত্বের পোস্টার বয় যোগী আদিত্যনাথ। যোগীজীর একমাত্র লক্ষ্য নরেন্দ্র মোদির পর ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরা এবং এই কাজটি করতে গেলে হিন্দুত্বই যে একমাত্র ভরসা সেটি বিলক্ষণ জানেন যোগীজি। মোহন ভাগবতের উপস্থিতি যোগীজীর এই কাজকে অনেকটাই তরান্বিত বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। আর সে কারণেই এই মহাকুম্ভ মেলায় উপস্থিত হয়ে কোনো রকম বিতর্ক সৃষ্টি করতে চাননি।
লক্ষনীয় বিষয় এর আগে বহুবার মোহন ভাগবত ত্রিবেণী সঙ্গমের কুম্ভ মেলায় উপস্থিত থেকেছেন। এমনকি ২০১৯ সালের কুম্ভ মেলাতেও তিনি যোগীজীর সাথে থেকে মেলা প্রদক্ষিণ করেন। কিন্তু এবারের ঐতিহাসিক মেলাতে সরসঙ্ঘচালকের অনুপস্থিতি রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।