জেলা

জাকিয়ে শীত পড়তেই মুখে হাসি ফুটলো নদীয়ার “শিউলি”দের

ডিজি বাংলা ১২ ডিসেম্বর ২০২৪: কনকনে ঠাণ্ডা সেই সাথে ঘন কুয়াশা, জাকিয়ে শীত পড়তেই মুখে হাসি ফুটে উঠল নদীয়ার বিভিন্ন ব্লকের খেজুর গুড় চাষি (শিউলি) এবং খেজুর গুড়ের ব্যবসায়ীদের। কয়েকদিন আগেও শীতের নামগন্ধ ছিল না। কেমন যেন হতাশাগ্ৰস্ত মনে হচ্ছিল তাদের। অথচ মাত্র দিন তিনেকের ব্যবধানে খুশি উপচে পড়ছে তাদের চোখে মুখে।
নদীয়া জেলা খেজুর গুড়ের জন্য বিখ্যাত। জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রয়েছে হাজার হাজার খেজুর গাছ এবং এই খেজুর গুড়ের চাষের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য চাষির আর্থিক শ্রী বৃদ্ধি। অগ্রহায়ণ মাসের প্রথমেই অর্থাৎ নভেম্বরের শেষের দিকে খেজুর গাছ ঝোড়ার কাজ শুরু হয় এবং ডিসেম্বরের শুরুতেই খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহের কাজ শুরু হয়। ডিসেম্বর- জানুয়ারি এই দু মাস ধরে চলে খেজুর রহ সংগ্রহ এবং খেজুর গুড়ের ব্যবসা। কিন্তু এবছর ডিসেম্বরের প্রথম দিকে শীতের কোন প্রভাব না থাকার কারণে শিউলিরা ভেঙ্গে পড়েছিল। আবহাওয়া দপ্তরও সেভাবে আশার বাণী শোনাতে পারছিল না। অবশেষে এমন জাকিয়ে শীত পড়াতে ভীষণ ভীষণ খুশি খেজুর গুড় চাষীরা। শীতের প্রকোপ যত বাড়তে থাকে খেজুর রসের পরিমাণও ততটাই বাড়তে থাকে এবং শুধু রসের পরিমাণই বাড়ে না রসের গুণগত মানও খুব ভালো হয়। যে খেজুর রসে শর্করার পরিমাণ যত বেশি, সেই রসের গুড়ের চাহিদাও তত বেশি। আর বেশি শীত পড়লে রসে শর্করা পরিমাণও বেশি হয়। সে কারণেই কনকনে শীতের অপেক্ষায় থাকে শিউলিরা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button