রাজ্য

কেন্দ্র এবং রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের পরীক্ষায় ডাহা ফেল ১৪৫টি ওষুধ

ডিজি বাংলা ৪ মার্চ ২০২৫: আপনার উচ্চ রক্তচাপ আছে। আপনি ডাক্তার দেখিয়েছেন। ডাক্তারবাবু আপনাকে নিয়মিত প্রেশারের ট্যাবলেট খেতে বলেছেন। আপনি যথারীতি ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুসারে ফার্মেসিতে গিয়ে প্রেসারের ট্যাবলেট কিনেছেন এবং যথারীতি নিয়ম করে খেয়ে যাচ্ছেন অথচ আপনার প্রেশার স্বাভাবিক হচ্ছে না। ভাবছেন এটা কি করে সম্ভব? হ্যাঁ সম্ভব। ভারতবর্ষের মতো দেশে সবই সম্ভব। আসলে, যে ওষুধটি আপনি ফার্মেসি থেকে কিনেছেন সেই ওষুধটির গুণমান ঠিক নেই। শুধু আপনার ওষুধটি নয়, এই মুহূর্তে আমাদের রাজ্যে প্রায় ১৪৫ টি ওষুধ যা আমরা অনেকেই নিয়মিত কিনে খাচ্ছি আমাদের রোগ সারাবার জন্য সেই ওষুধগুলি গুণগত মান নির্ণয়ে ডাহা ফেল করেছে। কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল সংস্থার পরীক্ষায় ফেল করেছে ৫২ টি ওষুধ এবং রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল সংস্থার পরীক্ষায় ফেল করেছে আরো ৫২টি ওষুধ। মূলত এই ফেল করার তালিকায় রয়েছে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ওষুধ টেলমা-এএম, বমির ওষুধ অন্ডেম এবং অত্যন্ত কার্যকরী একটি আ্যন্টিবায়োটিক আ্যমক্সিসিলিন পটাশিয়াম ক্লাউভেনেট ৬২৫ এমজি। আমরা যারা নিয়মিত প্রেশার নিয়ন্ত্রণ রাখার ওষুধ খায় তারা কিন্তু না বুঝেই এইরকম একটা চরম বিপদের সম্মুখীন হচ্ছি। এ বিষয়ে অভিজ্ঞ ডাক্তারবাবুদের মতামত চাওয়া হলে তারা বলেন গুণগত মান ঠিক না থাকা ওষুধ খেলে রোগ সারানো বা নিয়ন্ত্রণে রাখা একপ্রকার অসম্ভব এবং দীর্ঘদিন ধরে যদি এইরকম নিম্নমানের ওষুধ রোগী সেবন করে তাহলে তার রোগ উত্তরোত্তর বেড়ে যাবে এবং ভবিষ্যতে মারাত্মক আকার ধারণ করবে। এটা কখনোই কাম্য নয়।
উল্লেখ্য এর আগেও রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোলের পক্ষ থেকে বেশ কিছু ওষুধকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল একটি বিশেষ ব্যান্ডের গ্যাসের ওষুধ, প্যারাসিটামল সহ আরো বেশ কয়েকটি ওষুধ।
এমনিতেই রাজ্যে বহু ন্যায্য মূল্যের ঔষধের দোকান হয়েছে যেখানে অত্যন্ত কম দামে জেনেরিক ওষুধ পাওয়া যায়। কোথাও কোথাও জেনেরিক ঔষধের উপরে ৮৪ থেকে ৮৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়। একবার ভাবুন তো মাত্র ১৫ শতাংশ টাকায় ওষুধ তৈরি করা এবং সেখান থেকে লাভ করা কি সম্ভব? অন্যদিকে দেশজুড়ে চালু হয়েছে প্রধানমন্ত্রী জন ঔষধি প্রকল্প যেখানে প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ ছাড়ে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে। এইভাবে নিম্নমানের ওষুধ সরকারি বদান্যতায় বিক্রি হলে আগামী দিনে রাজ্য এবং দেশে অসুস্থ মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে একথা অনস্বীকার্য।।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button