প্রশাসনের সহায়তায় ১৩০ টি পরিবার পেল শিবলিঙ্গে জল ঢালার অধিকার
ডিজি বাংলা ১২ মার্চ ২০২৫: তোমরা ছোট জাত, তোমরা মুচি, তোমরা মন্দিরে গেলে মন্দির অপবিত্র হবে, দেবতা রুষ্ট হবেন। সুতরাং তোমরা মন্দিরে পুজো দিতে যাবে না। এমনই ফতোয়া দেওয়া হয়েছিল কাটোয়ার গিধগ্রামের ১৩০ টি দাস পরিবারকে।
সংবাদ সূত্রের খবর কাটোয়া মহকুমার অধীনে ওই গ্রামের শিব মন্দিরটি আনুমানিক ৩০০ বছরের পুরনো। ওই গ্রামে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বাস। তার মধ্যে ১৩০টি দাস পরিবার আছে। দাস পরিবার গুলির অভিযোগ তারা দীর্ঘদিন যাবৎ এই গ্রামে বসবাস করছে অথচ ওই শিব মন্দিরে পুজো দেবার অধিকার তাদের নেই। সম্প্রতি ওই গ্রামের দাস পরিবারেরা একত্রিত হয়ে শিব মন্দিরে পূজো দেওয়ার দাবি জানায়। আর এই দাস সম্প্রদায়ের মানুষজন শিব মন্দিরের পূজো দেওয়ার দাবি জানাতেই তার বিরোধিতায় নেমে পড়ে অন্যান্য উচ্চ বর্ণের লোকজন। পরিস্থিতি উত্তেজনা পূর্ণ হয়ে ওঠে, এমনকি জাতি দাঙ্গা হবার পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন জানায় এলাকার বাসিন্দারা।
শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সমস্যার সমাধান হয়। দুপক্ষের লোকজনকে নিয়ে আলোচনায় বসেন কাটোয়ার মহকুমা শাসক। ওই আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কাটোয়ার এসডিপিও, কাটোয়া তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় এবং মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী। অনেক তর্ক বিতর্ক, আইনি কচকচানি সমস্ত কিছুর পর দুই পক্ষের লোকজন শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে বাধ্য হয়।
সিদ্ধান্ত হয়েছে আজ বুধবার দাসপাড়ার মহিলাদের একাংশ ওই মন্দিরে পুজো দিতে যাবেন।এবং পুজো দেবার ক্ষেত্রে তারা যাতে কোন রকম বাধার সম্মুখীন না হয় সেই বিষয়টি পুলিশকে নিশ্চিত করতে হবে।
সূত্রের খবর ইতিমধ্যে প্রায় ১৫ টি পরিবার কাটোয়ার গিধগ্রামের শিব মন্দিরে পুজো দিয়েছেন এবং শিবলিঙ্গে দুধ ও জল ঢেলেছেন।