ডিজি বাংলা ৩ মার্চ ২০২৫: গত ২৭ ফেব্রুয়ারি নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামের মেগা বৈঠক থেকে তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভুয়ো ভোটার ইস্যুতে নির্বাচন কমিশন এবং মোদি সরকারকে তুলোধোনা করেন। তৃণমূল নেত্রী অভিযোগ করেন অন্য রাজ্যের বহু ভোটারের নাম এই রাজ্যের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ওইদিনের সভা থেকে তিনি ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটারের নাম চিহ্নিত করা এবং সেই বিষয়ে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য একটি কোর কমিটি গঠন করে দেন। আগামী ৬ই মার্চ সেই ভোটার লিস্ট সংক্রান্ত যে কমিটি গঠন করা হয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির নেতৃত্বে একটি জরুরি বৈঠক হবে।
ইতিমধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগের কাছে নতি স্বীকার করেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগের সাফাই দিতে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে বলা হয়েছে এপিক নম্বর এক হলেই সে ভূয়ো ভোটার নয়। নির্বাচন কমিশনের দপ্তর থেকে আরও জানানো হয়েছে ডুপ্লিকেট এপিক নম্বরের বিষয়টি ইউরোনেট প্ল্যাটফর্মে শুধরে নেওয়া হবে। প্রত্যেক ভোটদাতাকে একটিই মাত্র ইউনিক এপিক নম্বর দেওয়া হবে। অর্থাৎ একই এপিক নম্বরে দুজন ভোটারের যে নাম নথিভুক্ত হয়েছে তা সংশোধন করা হবে অর্থাৎ এক কথায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ কে একপ্রকার সঠিক মেনে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন।
ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন নির্বাচন কেন্দ্রে প্রচুর পরিমাণে ভুয়ো ভোটারের সন্ধান পাওয়া গেছে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ দিনাজপুর এই দুটি জেলাতেই ভুয়ো ভোটারের সংখ্যা বেশি বলে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। ৬ মার্চের বৈঠকে রাজ্যের সবকটি জেলার জেলা সভাপতি ও জেলা চেয়ারম্যানদের ডেকে পাঠানো হয়েছে এবং সেখানেই জেলাভিত্তিক বিস্তারিত পর্যালোচনা হবে বলে তৃণমূল সুত্রের খবর।
