সাতশো’র অধিক এস এইচ জি গড়ে নজির স্থাপন করেছে বেতাই ইউএলএস পিসিএসি সোসাইটি
নিজস্ব সংবাদদাতা,ডিজি বাংলা:ঊনিশ শতকের গোড়ার দিকে কর্নাটকের গদগা জেলার কানাগিলানায় ভারতবর্ষের প্রথম সমবায় গঠিত হয়,যা সমগ্র এশিয়ার প্রথম সমবায় সমিতি। এরপর ভারতবর্ষের দিকে দিকে প্রধাণত গ্রামাঞ্চলগুলিতে সমবায় সমিতি তৈরী শুরু হয়। ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দের ২৪শে নভেম্বর নদীয়া জেলার তেহট্ট মহকুমার বেতাই অঞ্চলে তৈরি হয় বেতাই ইউনিয়ন লার্জ সাইজড প্রাইমারী কোঅপারেটিভ এগ্রিকালচারাল ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেড।
স্থানীয় একটি গ্যারেজ ঘরে ১২ জনের কমিটি গঠন করে ৫১ জন সদস্যের থেকে ১০ টাকা করে গ্রহণ করে মোট ৫১০ টাকার পুঁজি নিয়ে এই সমিতি তার পথ চলা শুরু করে। পরবর্তীতে স্থানীয় পাঁচ সহৃদয় ব্যক্তি বৈদ্যনাথ ঘোষ,নন্দলাল সাহা,সতীশ চন্দ্র বিশ্বাস,কানাইলাল মন্ডল,নন্দদুলাল শীল জমি দান করলে সেখানে সোসাইটির অফিস নির্মাণ করা হয়। কৃষি লোন, পাট চাষ ছাড়াও সার, কাপড়,বেবিফুড এমনকি ১৯৮৪ সালে ডিপোজিটের ব্যবসাও শুরু করে এই সোসাইটি কিন্তু লাভের মুখ দেখে ২০০৮ সালের পর।
ব্যাংকের প্রাক্তন ম্যানেজার জয়ন্ত কুমার ঘোষ বলেন,”২০০৮ সালের পর এস এইচ জি গঠনের পরিকল্পনা নেওয়ার পরেই ব্যাংক ধীরে ধীরে লাভের মুখ দেখে।বর্তমানে এই ব্যাংকের মোট ডিপোজিটের পরিমাণ ২২ কোটি, এস এইচ জি র সংখ্যা ৭৫৯ এবং তাদের প্রদেয় লোনের পরিমাণ ১২ কোটি টাকা।”
অন্যদিকে এস এইচ জি র সদস্যরা জানান ,” আমাদের বিভিন্ন ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা হয় ব্যাংক থেকে এবং খুবই কম সুদে লোন দেওয়া হয় ,যারফলে আমরা টাকাটা অল্প অল্প করে শোধ করে দিতে পারি এবং সাবসিডি ও পাই।”
ব্যাংকের বর্তমান ম্যানেজার সঞ্জয় ভক্ত জানান একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে যে যে আধুনিক পরিষেবা পাওয়া যায় তার সবই এখানেও পাওয়া যায় যেমন এন ই এফ টি, আর টি জি এস,নেট ব্যাংকিং, কৃষি লোন,এন এস সি কে ভি পি লোন সহ যেকোনো রকম লোন। ব্যাংকের সাধারণ গ্রাহকরাও খুশি। একজন গ্রাহক হারেরাম মন্ডল জানান,”আমি বেশ কয়েকবার কৃষি লোন নিয়েছি,লোন শোধ করার পর সাবসিডি পেয়েছি,সুদের হারও কম।আর ব্যাংকের কর্মচারীদের ব্যবহার ভীষণ ভালো,তারা সব সময় আমাদের সাহায্য করে।”এইমানুষ ভাবে তেহট্টর বেতাই সংলগ্ন অঞ্চলের গ্রামীণ অর্থনীতিকে মজবুত করতে এবং নারী স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে নিরন্তর কাজ করে চলেছে বেতাই ইউ এল এস প্রাইমারী কোঅপারেটিভ এগ্রিকালচারাল ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেড।