রাজ্য

স্থায়ী কাজ চান পরিযায়ীরা, সরকারী ভাতা নয়

নিজস্ব প্রতিনিধি, ডিজি বাংলা: সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ‘নবান্ন’ থেকে ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্প চালু করেছেন । বীরভূমে দাঁড়িয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফিরে আসার ডাক দেন তিনি। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী জানান ভিন রাজ্যে কর্মরত ২২ লক্ষেরও বেশি শ্রমিক এই পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করলে পরিচয় পত্র পাবেন সঙ্গে পাবেন মাসে ৫০০০ টাকা ভাতা এবং যাদের নিজস্ব বাড়ি নেই তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে ‘কমিউনিটি সেন্টারে’। এমনকি তাদের সন্তানদের মাঝামাঝি সময় হলেও সরকারি স্কুলে ভর্তি ও স্কলারশিপের সুবিধা দেওয়া হবে।

বহু শ্রমিক এই প্রকল্পটি সমর্থন করছেন না এবং ভালোভাবে নিচ্ছেন না। কালিগঞ্জে উপনির্বাচনের ফল বেরোনোর দিন দুষ্কৃতিদের ছোড়া বোমায় নিহত মোলান্দী গ্রামের তামান্না খাতুন এর বাবা হোসেন শেখ বহুদিন ওড়িশায় ফেরিওয়ালার কাজ করেছেন। এদিন তিনি বলেন- “মাসে 5000 টাকায় সংসার চলে? একটা কারখানা হলেও অনেক শ্রমিক কাজ পেত। বাইরে গিয়ে কাজ মানেই তো রোজগার ।” পাশাপাশি একইভাবে আরেক পরিযায়ী শ্রমিক পিন্টু শেখ বলেছেন- “কিছুদিন আগে উড়িষ্যার পুলিশের খপ্পরে পড়েছিলেন তিনি, এখন বাড়ি ফিরলেও ফের দিল্লি যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন । তাঁর কথায়- “স্কুলে শিক্ষক নেই ,মেয়েদের টিউশন ফি দিতেই মাসে দু হাজার টাকা লাগে। অনুদান না দিয়ে সরকার যদি স্থায়ী কাজ দিত তাহলে অনেক উপকার হত।”

বিরোধীদলের সদস্যরা দাবি করছেন ভোটের আগে এই ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্প চালু করে প্রচুর পরিযায়ী শ্রমিককে রাজ্যে ফিরিয়ে ভোট বাড়ানোর চেষ্টাতেই তৎপর হয়ে উঠেছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং ভোট শেষ হয়ে গেলে আদৌ এই প্রকল্প টিকে থাকবে কিনা এ নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত তারা। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল মাইগ্রান্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের’ নদীয়া জেলা সম্পাদক তথা সিপিএম নেতা দেবাশীষ আচার্যের মতে , “রাজ্য সরকারের নীতির কারণেই মানুষকে বাইরে গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিক হতে হয় । এখানে কাজ নেই, মজুরি কম অথচ জীবনযাত্রার খরচ বেশি। পাঁচ হাজার টাকার ভরসায় সংসার চলে না । তার ওপর অনলাইনে ফর্ম পূরণ করেও অতীতে অনেকেই কোন টাকা পাননি । দুর্নীতি হয়েছে , মিথ্যা প্রতিশ্রুতি হয়েছে।”

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button