যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্য!

নিজস্ব সংবাদদাতা, ডিজি বাংলা: আবারো চাঞ্চল্য ছড়ালো, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী অনামিকা মন্ডলের মৃত্যুতে। কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, ডুবেই মৃত্যু হয়েছে ওই ছাত্রীর। শরীরে বড় কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে পড়ে গেলে যে কেটে বা ছিঁড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে তেমন কিছু চিহ্ন মিলেছে। পাকস্থলীতে মিলেছে অ্যালকোহলের গন্ধযুক্ত তরল। বিতর্ক এড়াতে, ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়ায় ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। আসলে ওই ছাত্রী কি কি খেয়েছিলেন , তা জানতে ভিসেরা পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এছাড়াও, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে মৃতার সঙ্গীদের চিহ্নিত করে তাঁদের বয়ান রেকর্ডের চেষ্টা করা হচ্ছে। এবং অনামিকার মৃগী জাতীয় কোন অসুখ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এলাকা সূত্রের খবর, দূর্গাপুজোর জন্য তাঁর নতুন শাড়ির ফলস পার বসাতে দিয়ে এসেছিল পাশের ফ্ল্যাটের ইতি রায় নামক কাকিমার কাছে। ইতি দেবী এবং অন্যান্য প্রতিবেশীরা তার মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না । অনামিকা নিমতা মাঝেরহাট ললিত গুপ্ত স্ট্রিটের রায় পাড়ার বাসিন্দা । তাঁর বাবা অর্ণব মন্ডল একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মচারী। আর তার মা মীনাক্ষী মন্ডল তাদের দোতলা বাড়ির নিচে স্টেশনারি দোকান চালান ,মাঝে মাঝে সেখানে অনামিকাও বসত।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ক্যাম্পাসে এই ঘটনার পরে শুক্রবার সকাল থেকেই পাশের আর্টস ফ্যাকাল্টি স্টুডেন্ট ইউনিয়নের অফিস তালাবন্ধ ছিল। অনুষ্ঠানের জিনিসপত্র বের করতে অনেকবার খোলা হয়। নিরাপত্তারক্ষী থেকে শুরু করে এসএফআই প্রভাবিত আর্টস ফ্যাকাল্টির পড়ুয়ারা মুখ খুলতে রাজি ছিলেন না। বলা বাহুল্য ড্রামা ক্লাবের অনুষ্ঠান চলাকালীন এই ঘটনা ঘটে । এখানে সমস্ত বিভাগের পড়ুয়ারা থাকলেও সেখানে মূলত কলা , বিশেষভাবে ইংরেজি বিভাগের পড়ুয়াদের প্রভাব বেশি ।অলিখিতভাবে এটি এসএফআইয়ের উদ্যোগ বলেই জানা যায়।