ডিজি বাংলা ১৬ সেপ্টেম্বর: গত শুক্রবার (১৪-০৯-২৪) সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাসভবনে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী,স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী,মুখ্য সচিব,স্বরাষ্ট্র সচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজির উপস্থিতিতে আর জি কর হাসপাতালের ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের সাথে একটি আলোচনা সভা হওয়ার কথা ছিল।বৃস্পতিবার (১৩-৯-২৪) দুপুরে আচমকাই স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনা মঞ্চে উপস্থিত হন। তাদের উদ্দেশ্যে বলেন তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নন,বড় দিদি হিসেবে তাদের কাছে এসেছেন এবং আবারও তাদেরকে আলোচনার টেবিলে বসার আহ্বান জানান। মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের ফ্রন্ট মুখ্যমন্ত্রীর সাথে আলোচনা বসার সমস্ত রকম প্রস্তুতি নিয়ে ই-মেইল করে জানিয়ে দেয় তারা আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। সবচেয়ে বড় কথা জুনিয়র ডাক্তাররা যে ই-মেইল পাঠায় সেই ই-মেইলে আলোচনায় বসার জন্য কোন রকম শর্ত ছিল না। অথচ মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছানোর পর ছাত্র ফ্রন্ট এর একাংশ দাবী জানাই সমগ্র আলোচনার ভিডিওগ্রাফি করে সেই ভিডিওগ্রাফির একটি কপি তাদের হাতে তুলে দিতে হবে। জুনিয়র ডাক্তারদের এই কথা শুনে হতবাক মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন এরকমটা করা সম্ভব নয়। কারণ বিষয়টি বিচারাধীন। বিচারাধীন কোন বিষয়ের ভিডিওগ্রাফি করে তিনি সেটা অন্য কাউকে দিতে পারেন না।এটা আইন বিরুদ্ধ। জুনিয়র ডাক্তাররা তাদের দাবিতে অনড় থাকার কারণে পুনরায় আলোচনা ভেস্তে যায়। এরপরই শুরু হয়ে যায় জুনিয়র ডাক্তারদের গঠিত ফ্রন্ট এর মধ্যে মতবিরোধ। জুনিয়র ডাক্তার একাংশ আলোচনায় বসে সমস্যা সমাধানের পক্ষপাতী ছিলেন। কিন্তু অপর একটি পক্ষ কোনভাবেই তাদের দাবি থেকে সরে আসতে রাজি নয়। বিশেষ সূত্রের খবরে জানা গেছে রাজ্যের বেশ কিছু মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ ধীরে ধীরে কাজে যোগদান করতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে জুনিয়র ডাক্তারদের এই আন্দোলনের ভবিষ্যৎ কি?
