কন্যাশ্রী পর এবার রূপশ্রী প্রকল্প পেল আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

ডিজি বাংলা ২১ সেপ্টেম্বর: ২০১৭ সালে UNO তাদের সর্বোচ্চ জনসেবা পুরস্কারে সম্মানিত করে কন্যাশ্রী প্রকল্পকে। ৬২ টি দেশের মধ্যে ৫৫২ টি সোশ্যাল সেক্টর স্কিম গুলির মধ্যে সেরা পুরস্কার পায় কন্যাশ্রী প্রকল্প।
এবারে কন্যাশ্রীর পর রূপশ্রী প্রকল্প পেল আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। গতকাল সিআইআই(ইষ্টার্ন রিজিয়ন) আয়োজিত
Impact East শীর্ষক এক আলোচনা সভায় পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত UNICEF এর Chief of Field Officer মনজুর হোসেন বলেন,কন্যাশ্রী,রূপশ্রীর মত সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে গৃহীত প্রকল্পগুলির ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলার সমাজ ব্যবস্থায়। এই দুই প্রকল্পের সৌজন্যে স্কুল ছুটের সংখ্যা এবং বাল্যবিবাহ কমেছে।
২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসার পর ২০১৩ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করেন। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ছিল দরিদ্র পরিবারের অন্তর্ভুক্ত মেয়েরা যাতে অর্থের কারণে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে না দেয় সেই বিষয়টি সুনিশ্চিত করা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে অষ্টম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রীদের প্রতি বছর এক হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। তারপরেও যদি কেউ ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত পড়াশোনা চালিয়ে যায় তাহলে তাকে এককালীন ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। অন্যদিকে রূপশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে বিবাহযোগ্যা কন্যাকে এককালীন ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশেষ করে আর জি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া নৃশংস এবং মর্মান্তিক ঘটনার পর পশ্চিমবঙ্গের নারী সুরক্ষা এবং নারীদের কর্মসংস্থান নিয়ে রাজ্য যে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে, রূপশ্রী প্রকল্পের এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি সেই জায়গা থেকে কিছুটা হলেও রাজ্য সরকারকে স্বস্তি দেবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।