মঙ্গলবার রাজ্য জুড়ে স্বাস্থ্য ধর্মঘটের ডাক দিল জুনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠন

ডিজি বাংলা ২১ অক্টোবর: জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন কি রাজনৈতিক গোলকধাঁধায় পড়ে পথ হারিয়ে ফেলেছে?
আর জি কর মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে তরুনী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের পর জুনিয়র ডাক্তাররা নিরাপত্তার দাবিতে প্রথমে কর্মবিরতি পালন শুরু করে। তারপর স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান,আমরণ অনশন,এবারে স্বাস্থ্য ধর্মঘটের ডাক। প্রথমে দাবি ছিল নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য অধিকর্তাদের অপসারণ, কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের অপসারণ ইত্যাদি। তারপর একের পর একের পর এক দাবির সংখ্যা বাড়তে বাড়তে শেষ পর্যন্ত দাবির দফা এসে দাঁড়িয়েছে দশে।
মোট দশ দফা দাবি মধ্যে সরকার পক্ষ ইতিমধ্যে তাদের সাত দফা দাবি মেনে নিয়েছে। স্বাস্থ্য অধিকর্তাদের সরিয়ে দিয়েছে,কলকাতা পুলিশ কমিশনার কে সরিয়ে দিয়েছে। এর পরেও জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনের পথ থেকে সরে আসেনি। রাজনৈতিক মহলের একটা অংশের মতে বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের বিশেষ করে বামপন্থীদের মদতপুষ্ট কিছু সিনিয়র ডাক্তার পর্দার আড়াল থেকে আন্দোলনকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
জুনিয়র ডাক্তারদের তরফ থেকে গত রাত্রে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সরকারকে সোমবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়। আন্দোলনের অন্যতম মুখ দেবাশীষ হালদার বলেন,” এই ধর্মঘটের ফলে যদি একজন রোগীরও কোন সমস্যা হয় তার দায় রাজ্য সরকারকে নিতে হবে।”
কিন্তু প্রশ্ন হল ধর্মঘট করবে ডাক্তাররা। বিঘ্নিত হবে স্বাস্থ্য পরিষেবা,অথচ দায় নিতে হবে রাজ্য সরকারকে? এটা কোন ধরনের দাবি? জুনিয়র ডাক্তাররা মুখ্যমন্ত্রীর মানবিকতার প্রশ্ন তুলেছেন কিন্তু বাস্তবে জুনিয়র ডাক্তাররা কি মানবিক হতে পেরেছেন? আন্দোলন প্রতিবাদ সবকিছুই করা যায় কিন্তু সেটা কখনোই মানুষের মৃত্যুর বিনিময় নয়, এই প্রশ্নটাই আজ ঘুরে ফিরে আসছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। যে আন্দোলন একসময় অসংখ্য মানুষের সমর্থন পেয়েছিল আজ কিন্তু ধীরে ধীরে মানুষ ঘুরিয়ে নিচ্ছে সেই আন্দোলন থেকে। ডাক্তারদের বুঝতে হবে মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবা বিঘ্নিত করে আন্দোলন করলে সেই আন্দোলনের পাশে সাধারণ মানুষের সমর্থন থাকে না। কতিপয় রাজনৈতিক দল তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য জুনিয়র ডাক্তারদেরকে বোড়ে হিসেবে ব্যবহার করছে এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে করছে নাগরিক সমাজের একাংশ।