পৌর প্রধানের ওয়ার্ডে পালিত হল বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠান, উদ্যোক্তা ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেস
ডিজি বাংলা ২৮/১০/২৪: দলনেত্রীর নির্দেশ বুথস্তর থেকে জেলাস্তর পর্যন্ত সর্বত্র বিজয়া সম্মিলনী করতে হবে। কর্মীদের সাথে নেতাদের জনসংযোগ বাড়াতে হবে। সেই নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে বিভিন্ন জেলার সংগঠনের সর্বস্তরে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বিজয় সম্মেলনের ঢল নেমেছে। নদীয়া জেলার বিভিন্ন ব্লকে ব্লকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বিজয়া সম্মিলনী উৎসব। এই সমস্ত উৎসবে কোথাও আসছেন রাজ্যস্তরের নেতারা,আবার কোথাও আসছেন জেলা স্তরের নেতারা। আবার কোথাও কোথাও দেখা যাচ্ছে সেলিব্রেটিদের। কৃষ্ণনগর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডে গতকাল দেখা গেল এমনই এক অনুষ্ঠান। এই বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ছিলেন ৯ নং ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি দেবজ্যোতি দাস যার আরেকটি পরিচয় তিনি কৃষ্ণনগর পৌরসভার বর্তমান পৌর প্রধান রীতা দাসের ছেলে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত কর্মী সমর্থকদের জন্য ব্যবস্থা ছিল বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি এবং নোনতা খাবারের।এই অনুষ্ঠান মঞ্চে পৌর প্রধান ছাড়াও কৃষ্ণনগর পৌরসভার বেশ কিছু কাউন্সিলরকে দেখা গেলেও কৃষ্ণনগর শহর তৃণমূল কংগ্রেস কিম্বা জেলস্তরের কোন তৃণমূল নেতাকে দেখা গেল না। স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি শহর তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব চলছে কিম্বা কোন দ্বন্দ্ব চলছে? উল্লেখ্য বর্তমানে কৃষ্ণনগর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের কোনো সভাপতি নেই। পূর্বতন সভাপতি প্রদীপ দত্ত পদত্যাগ করার ফলে শহর সভাপতি শুন্য। জেলা সভাপতি কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র এখনো পর্যন্ত জেলা কমিটি গঠন করতে পারেনি। এছাড়াও কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার বিভিন্ন ব্লকে ব্লকে চলছে তৃণমূলের মধ্যে আদি এবং নব্যের দ্বন্দ্ব। এই অবস্থায় বিজয়া সম্মিলনী করে দলের মধ্যের এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামাল দেবার একটা চেষ্টা চলছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।