রাস উৎসব শান্তিপুর আর নবদ্বীপের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই,ছড়িয়ে পড়ছে নদীয়ার অন্যান্য জায়গাতেও

ডিজি বাংলা ১৮ নভেম্বর ২০২৪: আগে রাস উৎসব বলতে মানুষ বুঝতো নবদ্বীপ এবং শান্তিপুর। নবদ্বীপ এবং শান্তিপুর রাস উৎসবের উৎস ভূমি, রাস উৎসবের পীঠস্থান, বিশেষ করে শান্তিপুর শহর রাস উৎসবের জন্য জগৎবিখ্যাত। প্রায় পাঁচশো বছর ধরে শান্তিপুরের পূণ্যভূমিতে পালিত হয়ে আসছে শান্তিপুরের ভাঙ্গা রাস। শান্তিপুর মূলত শাক্ত এবং বৈষ্ণব ধর্মের মিলনক্ষেত্র। লক্ষাধিক মানুষ শান্তিপুরে জমায়েত হন রাসের শোভাযাত্রা দেখবার জন্য। শান্তিপুরের এই শোভাযাত্রার মূল আকর্ষণ হল রাই রাজা বা রাধিকা রাজা। কিশোরী কন্যা রাই রাজা বা রাধিকা রাজা সেজে সিংহাসনে উপবিষ্ট হয়ে শহর পরিক্রমা করে, সাথে রাস্তার উপরে সখীগণ নৃত্য গীত সহকারে এগিয়ে যায়। এই মনোমুগ্ধকর,অভূতপূর্ব,অপরূপ দৃশ্য দেখবার জন্য জেলার বাইরে থেকেও হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসে শান্তিপুরে।
কিন্তু এখন আর শুধু শান্তিপুর,নবদ্বীপ নয় নদীয়ার আরোও বেশ কিছু জায়গায় রাস উৎসবের সূচনা হয়েছে এবং সেগুলি যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বিশেষ করে নদীয়ার কুলগাছি এবং দয়েরবাজার এলাকায় যে রাস উৎসব হয় সেই রাস উৎসবে ব্যাপক জনসমাগম দেখা যাচ্ছে। কুলগাছির রাস উৎসব অবশ্য খুব বেশি দিনের নয়। আজ থেকে কুড়ি বছর আগে ২০০৩ সালে প্রথম কুলগাছিতে রাস উৎসবের সূচনা হয়। পরে ধীরে ধীরে সেই উৎসব আকারে বহরে অনেক অনেক বিস্তার লাভ করেছে। পাশাপাশি দয়েরবাজার এলাকায় রাস উৎসব শুরু হয় আশির দশকে।
তবে শান্তিপুর এবং নবদ্বীপ রাস উৎসবের যে ধর্মীয় পেক্ষাপট আছে সেই ধর্মীয় প্রেক্ষাপট না থাকার কারণে অনেকেই কুলগাছি কিংবা দোয়েরবাজারের রাস উৎসবকে নিছক রাস পূজা বা রাসমেলা বলেই মনে করে।