ডিজি বাংলা ২৩ নভেম্বর ২০২৪: রাজ্যের ছটি বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলাফল আজ প্রকাশ হতে চলেছে। এখনো পর্যন্ত প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী সবকটি বিধানসভা আসনেই তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা বিপুল ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে। বিজেপি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হওয়া সত্ত্বেও সেভাবে এই উপনির্বাচনে খুব বেশি একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি। অন্যদিকে সিপিএম,কংগ্রেস এবং আইএসএফ সহ অন্যান্য দলগুলি প্রায় জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বলেই এই নির্বাচনের সম্ভাব্য ফলাফল থেকে তেমনি ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু বিজেপির সাংগঠনিক সংবিধান অনুযায়ী কোন ব্যক্তি দুটি পদ দখল করে থাকতে পারেন না। সেই মোতাবেক বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে রাজ্য সভাপতির পদ ছাড়তে হবে। এখন প্রশ্ন সুকান্তবাবুর জায়গায় কে হবেন দলের রাজ্য সভাপতি। সম্ভাব্য যে নামগুলি বিজেপির অন্দরমহলে ঘোরাফেরা করছে তার মধ্যে সর্বপ্রথমে রয়েছে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ এবং দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। শমীকবাবু দীর্ঘদিনের রাজনীতিবিদ,এক সময় বিধানসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ তিনি সামলেছেন। তিনি সুবক্তা এবং অত্যন্ত যুক্তি সহকারে তিনি তার বক্তব্য রাখেন। সুতরাং দলের সভাপতি হিসেবে অনেকেরই পছন্দের তালিকায় রয়েছেন শমীক বাবু। দলের একাংশ চাইছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপরীতে কোন একজন মহিলা মুখ রাজ্য সভাপতি হোক। তাদের পছন্দের তালিকায় ঘোরাফেরা করছে মূলত দুটি নাম,একটি হুগলির প্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং অপর জন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। কোন কোন মহল থেকে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নাম নিয়ে আলোচনা করল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দিলীপবাবুকে রাজ্য সভাপতি পদে ফিরিয়ে আনার পক্ষপাতী নন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে অনেকেই পরবর্তী রাজ্য সভাপতি হিসাবে চাইছেন। কিন্তু সংঘ পরিবার কোনভাবেই শুভেন্দু বাবুকে রাজ্য সভাপতি পদে বসাবেন না একথা বিজেপির অন্দরমহলের সকলেই জানেন।
বরং তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে আছেন রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার এবং পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। তবে এই মুহূর্তে রাজ্যে বিজেপির পরবর্তী সভাপতি হিসাবে যে নামটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি চর্চা হচ্ছে সেই নামটি হল শমীক ভট্টাচার্যের।
