বাংলাদেশ নিয়ে শেষ পর্যন্ত নীরবতা ভাঙলেন মুখ্যমন্ত্রী

ডিজি বাংলা ৩ ডিসেম্বর ২০২৪: একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর কোন সুযোগ নেই ভারতের কোন অঙ্গরাজ্যের। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেবার সাংবিধানিক অধিকার ভোগ করে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকার এবং কেন্দ্রের বিদেশ মন্ত্রক। তারপরেও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একনাগাড়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখছেন। বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ গোলযোগ এবং সেই গোলযোগকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী দেশের হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর বর্বরোচিত আক্রমণ,তাদের সম্পত্তি নষ্ট এবং ভীতি প্রদর্শন এই সমস্ত কিছু নিয়েই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ পর্যন্ত তার প্রতিক্রিয়া জানালেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন,” এটা আন্তর্জাতিক বিষয়। রাজ্যের এক্তিয়ারে পড়ে না। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে নিবেদন রেখেছি।”
মুজিব কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত হবার পর থেকেই প্রতিবেশী এই রাষ্ট্রে বসবাসকারী হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ নেমে এসেছে। শুরু থেকেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বাংলাদেশের প্রবহমান ঘটনাবলী নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য শুরু করেছেন। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গালানো যায় না এই ভাবনা থেকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এতদিন নিরব ছিলেন। শেষ পর্যন্ত নীরবতা ভেঙ্গে তিনি প্রথমেই বাংলাদেশে রাষ্ট্রপুঞ্জের উদ্যোগে শান্তি বাহিনী পাঠাবার নিদান দিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হবার সাথে সাথেই তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন,” পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে উক্তি করেছেন বাংলাদেশ শান্তি বাহিনী প্রেরণের—এটা বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি স্বরূপ এবং আমরা মনে করি এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে নেতৃ বর্গের যে দৃষ্টিভঙ্গি তা কিছুটা প্রকাশিত হয়েছে। আমি মনে করি যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।”
যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উক্তি বা দাবি সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়নি। তবে সংবাদ সূত্রের খবর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের দায় কেন্দ্রীয় সরকার নিতে নারাজ। তারা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে এই বক্তব্য শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজস্ব বক্তব্য, এর সাথে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের কোন সম্পর্ক নেই।