নিজের গড়েই কুপোকাত শুভেন্দু, রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে উঠল প্রশ্ন
ডিজি বাংলা ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪: কাঁথি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের নির্বাচনে বিজেপিকে ১০২-৬ গোলে হারিয়ে সমবায় ব্যাঙ্কের দখল নিল তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই ফলাফলে প্রমাণ হল ধীরে ধীরে মেদিনীপুরের মাটি থেকে শুভেন্দু অধিকারীর শিকড় হালকা হতে শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী এনেও শুভেন্দু অধিকারী তার নিজের গড়ে ধরাশায়ী হলো। ১০৮ টি আসনের মধ্যে ১০২ আসনে জয়ী হলো তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীরা। সারা কাঁথি জুড়ে শুরু হলো অকাল হোলি। আনন্দে মাতল ঘাসফুল শিবিরের নেতা-কর্মীরা।এতদিন পর্যন্ত কাঁথি কো-আপারেটিভ ব্যাঙ্কের দখল ছিল শুভেন্দু অনুগামীদের হাতে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দীর্ঘদিন যাবৎ এই ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলেছেন। তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করার পর শুভেন্দু অধিকারী কে কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়। তারপরেও এই ব্যাঙ্কের কর্তৃত্ব ছিল শুভেন্দু অনুগামীদের হাতে। এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের মূল লক্ষ্য ছিল ঐ সমবায় ব্যাঙ্কের সমস্ত ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া। সেভাবেই পরিকল্পনা করেছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব এবং নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল রামনগরের বিধায়ক রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর চরম শত্রু অখিল গিরিকে।
উল্লেখ্য, পূর্ব ভারতের অন্যতম বড় কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক হল কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্ক। এই ব্যাঙ্কের ক্ষমতা দখল নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে লড়াই চলছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিরোধী দল বিজেপির মধ্যে। আসলে মূল লড়াইটা ছিল অখিল গিরি ভার্সেস শুভেন্দু অধিকারী। শেষ পর্যন্ত অখিলের গোলে কুপোকাত হলো শুভেন্দু। সমবায় ব্যাঙ্কের কর্তৃত্ব গেল তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে। দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশানুসারে কেন্দ্রীয় বাহিনী দ্বারা আজকের ভোট পরিচালিত হয়। এত কিছু করেও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তার নিজের গড়েই যেভাবে পর্যদুস্ত হলেন তাতে করে তার রাজনৈতিক ভবিষ্যতের সামনে একটি বড় প্রশ্ন চিহ্ন এসে গেল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।