গ্ৰেস কটেজে অনুষ্ঠিত হলো “নজরুল সম্মান” প্রদান অনুষ্ঠান-২০২৪
ডিজি বাংলা ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪: গত ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার নজরুল স্মৃতি ধন্য কৃষ্ণনগরের ঐতিহ্যমন্ডিত ভবন গ্রেস কটেজে অনুষ্ঠিত হলো কৃষ্ণনগর সুজন পাঠাগার ও নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে গ্ৰেস কটেজ নজরুল সম্মান প্রদান অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে নজরুল গবেষক এবং নজরুল সাহিত্যের ইংরেজি অনুবাদক, কবি ও গীতিকার গিয়াসুদ্দিন দালালকে নজরুল সম্মানে ভূষিত করা হয়। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নদীয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি তারান্নুম সুলতানা মীর, বিশিষ্ট লেখক,নজরুল গবেষক এবং সমাজকর্মী মিরাতুন নাহার প্রমুখ।
১৯২৬ সালে বিপ্লবী বন্ধু হেমন্ত কুমার সরকারের আহবানে কৃষ্ণনগরে এসে বসবাস শুরু করেন সাহিত্যিক,কবি নজরুল। প্রাথমিকভাবে কয়েক মাস জলঙ্গী তীরবর্তী গোলাপট্টি অঞ্চলে বসবাস করার পর সস্ত্রীক কবি চলে আসেন তৎকালীন বিদ্যুৎ দপ্তরের শহর কার্যালয়ের ভিতর “গ্ৰেস কটেজ” নামে একটি পাকা বাড়িতে। এই বাড়িতে বসেই নজরুল রচনা করেন তার সেই বিখ্যাত বিপ্লবী কবিতা,” দূর্গম গিরি,কান্তার মরু, দুস্তর পারাবার হে, লঙ্ঘিতে হবে, রাত্রি নিশিতে, যাত্রীরা হুশিয়ার।”
২০১২ সালে পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশন নজরুল স্মৃতি বিজড়িত গ্ৰেস কটেজকে হেরিটেজ ভবনের স্বীকৃতি প্রদান করে। এই ভবনেই আপাতত সংরক্ষিত রয়েছে নজরুলের ব্যবহৃত অসংখ্য জিনিসপত্র থেকে শুরু করে নজরুল স্পর্শে ধন্য প্রচুর পত্রপত্রিকা এবং বই।
নজরুল প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মীরাতুন নাহার কাজী নজরুল ইসলামের ভাবনা, তার আদর্শ, তার বৈষম্য বিরোধী মহান চিন্তা চেতনার কথা উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে গ্ৰেস কটেজ নজরুল গীতি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সংগীত পরিবেশন করা হয়। কৃষ্ণনগর পৌরসভার কাউন্সিলর আবুল হোসেন বিশ্বাস অনুষ্ঠান মঞ্চে ঘোষণা করেন নজরুলের ১২৫ তম জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে কৃষ্ণনগর পৌরসভা প্রাঙ্গণে কাজী নজরুল ইসলামের একটি আবক্ষ মূর্তি প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। উপস্থিত সকলেই পৌরসভার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান। সমগ্র অনুষ্ঠানটিকে সুচিন্তিত এবং সুশৃংখলভাবে উপস্থাপন এবং পরিচালনা করেন সুজন পাঠাগার ও নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের সম্পাদক ইনাসউদ্দিন।