জেলা

নদীয়া ভ্রমণের কয়েকটি বিখ্যাত জায়গা

ডিজি বাংলা ১ জানুয়ারি ২০২৫ ঃ “ভ্রমণের খিদে নিয়ে পা রাখো নদীয়ায়। দেখবে তুমি ইতিহাস বেঁধেছ নদীয়ার কোনায় কোনায়”।  
যুগ যুগ ধরে হাজারো ইতিহাসের সাক্ষী বহন করে যাচ্ছে, এই নদীয়া জেলার মাটি। কখনো পলাশীর যুদ্ধের কাহিনী, কখনো চৈতন্য কাহিনী, আবার কখনো কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণচন্দ্র রাজার রাজত্বের কাহিনী। মোটকথা নদীয়া জেলা হচ্ছে একটি ঐতিহাসিক স্থান যেখানে বহু মানুষের ভিড় জমে।
চলুন একটু ঘুরে আসা যাক নদীয়ায়। শুরু করা যাক শান্তিপুরের আটচালার শ্যামচাঁদ মন্দির দিয়ে। তারপর পোড়ামাটির জলেশ্বর মন্দির। আরও কত কিছু। কলকাতা থেকে শান্তিপুরের দূরত্ব বেশি নয়, চলুন  বেরিয়ে পড়ুন  বাসে কিংবা গাড়িতে।
বেথুয়াধারিত অভয়ারণ্য, যেখানে হাজার পশুপাখির সমাবেশ, কলকাতা থেকে যার দূরত্ব হবে তিন ঘন্টা ১২ মিনিট মত। সকালে বেরিয়ে সন্ধ্যার আগে ঘরে ফেরা যায়।
মায়াপুরের ইসকন মন্দির, কলকাতা থেকে যার দূরত্ব হবে ১৩২ কিলোমিটার। আপনাকে বারাসাত, রানাঘাট, কৃষ্ণনগর অতিক্রম করে যেতে হবে। বাস থেকে নেমে টোটো করেও যেতে পারেন আবার বাস থেকে নেমে নৌকো করে জলঙ্গি নদী পেরিয়েও যেতে পারেন। মায়াপুরে রয়েছে অনেক সুন্দর থাকার  জন্য হোটেল, সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া সুন্দর ব্যবস্থা।
এছাড়াও কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণচন্দ্র রাজার রাজবাড়ী। দূরত্ব কলকাতা থেকে ১০০ কিলোমিটার। কৃষ্ণনগরে থাকার জন্যে হোটেল বা গেস্ট হাউসের অভাব নেই। নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ-শিব নিবাসে রয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম শিব মন্দির (রাজ রাজেশ্বরের মন্দির)।  এভাবেই নদীয়া জেলার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে ইতিহাস। তাহলে বন্ধুরা দেরি কেন, আজই বেরিয়ে পড়ুন শীতের আমেজ গায়ে মেখে নদীয়ার ঐতিহাসিক স্থান ঘুরে নিজের চোখকে সার্থক করে তুলতে।
বছরের শুরুতেই আপনার চক্ষুদ্বয় সার্থক হোক নদীয়ার ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণ করে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button