গতকাল ছিল চলতি মরশুমের শীতলতম দিন
ডিজি বাংলা ৩ জানুয়ারি ২০২৫ : বছরের শেষ সপ্তাহে ঠান্ডার নাম গন্ধ ছিল না অথচ নতুন বছর পড়তে না পড়তেই হাড় হিম করা ঠান্ডায় জমে যাচ্ছে রাজ্যবাসী। গতকাল ২ জানুয়ারি ছিল ২০২৪-২০২৫ শীত মরশুমের শীতলতম দিন। বছরের শেষ দিনে জেলা সদর কৃষ্ণনগরের তাপমাত্রা ছিল ১৫° ডিগ্ৰীর আশেপাশে অথচ গতকাল সেই তাপমাত্রা নেমে আসে ১১° ডিগ্রীর নিচে। যদিও গতবছর এই দিনে তাপমাত্রা এর থেকেও কম ছিল ভলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে ২০২৪-২৫ শীত মরশুমের সবচেয়ে ঠান্ডা দিন ছিল গতকাল ২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার। দপ্তর সূত্রে আরও জানানো হয়েছে আগামী দুই এক দিন তাপমাত্রা আরও নামার সম্ভাবনা আছে। তবে আগামী পরশু অর্থাৎ ৫ জানুয়ারি বঙ্গোপসাগরে এক ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হবার ফলে তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী হবার সম্ভাবনা আছে।
প্রবল ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে পড়েছে শহরবাসী। সবার মুখে একটাই কথা ওফ! কি ঠান্ডা। সারাদিন কনকনে উত্তুরে হওয়া বয়ে চলেছে। ফলে চনমনে রোদ থাকলেও তা ঠিকমতো গায়ে লাগছে বলেই মনে হচ্ছে না। মাঝরাতের পর কুয়াশা পড়লেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে আকাশ পরিস্কার হয়ে যাচ্ছে।
রোদ ঝলমল এই শীত উপভোগ করবার জন্যে আবাল বৃদ্ধ বনিতা সকলেই মেতে উঠেছে। জেলার বিভিন্ন ভ্রমণ স্থানগুলোতে মানুষ উপচে পড়ছে বিশেষ করে নবদ্বীপ, মায়াপুর ইস্কন, বেথুয়াডহরি অভয়ারণ্য, শিবনিবাস এবং পলাশী।
এমন ঠান্ডা পড়াতে খুশি চাষী মহল, বিশেষ করে যে সমস্ত চাষী বাগিচা চাষের সাথে যুক্ত তাদের অভিমত এখন যদি ঠিকঠাক ঠান্ডা না পড়ে তাহলে আম বা লিচুর মুকুল ঠিকমতো আসে না। অন্যদিকে প্রবল ঠান্ডা তে সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছে খেজুর গুড়ের সাথে যুক্ত শিউলিরা। ঠান্ডা যত বেশি গাছের রস তত বেশি।