ডিজি বাংলা ৩ জানুয়ারি ২০২৫[শুক্রবার]: মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের সাথে অন্যান্য দপ্তরের যোগাযোগ অথবা সমন্বয় কি আস্তে আস্তে ঢিলে হতে চলেছে? সম্প্রতি শিক্ষা দপ্তর থেকে ঘোষিত প্রাথমিকের সেমিস্টার চালু হচ্ছে এই খবরকে কেন্দ্র করে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই এমন প্রশ্ন উঠে এসেছে রাজনৈতিক মহলে। গত ২৭ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন প্রাথমিক স্তরে সেমিস্টার প্রথা চালু হবে এবং তা চালু হবে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে। কিন্তু গতকাল নবান্ন সভাঘরে এক প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দেন প্রাথমিক স্তরে সেমিস্টার প্রথা চালু করা যাবে না। শুধু তাই নয় শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর এহেন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ এবং উস্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রাথমিকে সেমিস্টার প্রথা চালু হবে কিনা এই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু কিছু বলতে চাইলে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টতই থাকে থামিয়ে দেন এবং বলেন,” আমি কিছু শুনতে চাই না। মানুষের কাছে বার্তা চলে গিয়েছে, ওটা কিন্তু হবে না। চারজন বিশেষজ্ঞ মিলে সিদ্ধান্ত নিলেন, আর হয়ে গেল। আমি চাই বাচ্চাদের বোঝা কমাতে, ব্যাগের ওজন কমাতে। ওরা টুইংকেল টুইংকেল বলতে পারেনা,সেমিস্টার দেবে? কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় এটা শুরু হয়ে গেছে,
তারা অভ্যস্ত, স্কুলে তার চলবে না”। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ” প্রাথমিক নিয়ে কোন নোটিফিকেশন হয়নি। পর্ষদ বিষয়টি প্রস্তাব আকারে শিক্ষা দপ্তরের কাছে পাঠিয়েছিল। যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী বলে দিয়েছেন প্রাথমিক সেমিস্টার চালুর অনুমোদন আপাতত দিচ্ছেন না সুতরাং এটা হবে না। এ নিয়ে আলোচনা বা বিতর্কের কোন জায়গা।
তাহলে কি উচ্চমাধ্যমিক স্তরেও সেমিস্টার প্রথা বাতিল হয়ে যাবে? শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তেমনটা হচ্ছে না, কারণ এই বিষয়টির অনুমোদন আছে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে।” মুখ্যমন্ত্রীর অনিচ্ছা প্রসঙ্গে কোন মতামত পাওয়া যায়নি পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের কাছ থেকে।
