সবজির দাম নিম্নমুখী,চাষীর মাথায় হাত
ডিজি বাংলা ৩ জানুয়ারি ২০২৫[শুক্রবার]:একমাস আগেও যে ফুলকপি বিক্রি হয়েছে প্রতি পিস ৩০ টাকা, আজকে সেই ফুলকপি বিকোচ্ছে জোড়া ১৫ টাকা। বেগুন ছিল ৫০ টাকা, আজকের দাম ১৫ টাকা। দরদাম করে ২ কেজি নিলে ১০ টাকা কেজি।
সব সবজির দাম নিম্নমুখী। ১০০ টাকার সবজি কিনলে বেশ বড়সড় ব্যাগ লাগবে।
নদীয়া জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে সবজি চাষ হয়। বিশেষ করে কৃষ্ণগঞ্জ, হাসখালি, তেহট্ট, নাকাশিপাড়া, করিমপুর এবং চাকদা ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর পরিমাণে সবজি চাষ হয়। অবশ্য পৌষ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে সবজির উৎপাদন অনেকটাই বেড়ে যায়। সে কারণেই এই সময় বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম অনেকটাই কমে যায়। আর একটা বিষয় এ বছর আবহাওয়া যথেষ্ট সবজি চাষের অনুকূল ছিল। স্বাভাবিকভাবেই বিগত বছরের থেকে এ বছরে সবজির উৎপাদন যথেষ্ট বেশি। কিন্তু সবজির দাম যে এতটা নিম্নগামী হবে সেটা কিন্তু চাষিরা আদৌ ভাবতে পারেনি। শহরের বাজার গুলিতে যদিও বা সবজির দাম একটু আছে কিন্তু গ্রামীণ বাজার গুলিতে সবজি চাষিরা সবজি নিয়ে যেতেই রাজি হচ্ছে না। অনেক চাষীর মাথায় হাত পড়েছে। বাঁধাকপি, সিম, পালং শাক, মূলো এই সমস্ত সবজির বিক্রি নেই বললেই চলে।
সবজির দাম কমে যাওয়াতে শুধু চাষীদের মাথায় হাত পড়েনি, যারা সবজির পাইকারি বিক্রেতা তাদের ব্যবসাতেও প্রচন্ড ধাক্কা লেগেছে। চাষী সরাসরি সবজি বিক্রি করে না। মূলত আড়তদারের মাধ্যমে তারা সবজি বিক্রি করে। আড়তদারেরা চাষীর সবজি বিক্রি করে একটা কমিশন পায়। কিন্তু বর্তমানে সবজির যা বাজার তাতে করে খরচাপাতি বাদ দিয়ে কমিশন বাবদ তারা যা পায় তাতে তাদের আর চলছে না। অনেক আড়তদারই আপাতত সবজি বেচাকেনা বন্ধ করে দিয়েছে।