“বাংলার বাড়ি” প্রকল্পে টাকা ঢুকতেই গ্রামে গ্রামে শুরু হয়ে গেছে কর্মযজ্ঞ
ডিজি বাংলা ৬ জানুয়ারি(সোমবার) ২০২৫: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা মতই “বাংলার বাড়ি” প্রকল্পের টাকা ইতিমধ্যে ঢুকে গেছে উপভোক্তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। সর্বমোট এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকার মধ্যে প্রথম কিস্তির ষাট হাজার টাকা হাতে পাওয়ার সাথে সাথেই গ্রামে গ্রামে শুরু হয়ে গেছে ঘর নির্মাণের প্রক্রিয়া। “প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনা” প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি, স্বজন পোষণ ও আর্থিক অনিয়ম হয়েছে এই অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বিগত তিন বছর একটি পয়সাও বরাদ্দ করেনি রাজ্যের অসহায় গৃহহীন মানুষদের গৃহনির্মাণ প্রকল্পে। এই প্রকল্পে অর্থ অনুমোদন নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এবং রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের মধ্যে তুমুল বিতর্ক চলাকালীন অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেন কেন্দ্রের টাকার কোন প্রয়োজন নেই। রাজ্য সরকার তার নিজস্ব রাজকোষ থেকে অর্থ ব্যয় করে বাংলার মানুষের জন্য বাড়ি নির্মাণ করে দেবেন।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ডিসেম্বর মাসের শেষ লগ্নে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় বারো লক্ষ মানুষের আ্যকাউন্টে ষাট হাজার টাকা করে জমা হয়। ইতিমধ্যে অসংখ্য উপভোক্তা তাদের গৃহনির্মাণের কাজ শুরু করে দিয়েছে। আর এই পরিমাণ টাকা গ্রামের মানুষের আ্যকাউন্টে পৌঁছাবার সাথে সাথেই যারা বাড়ি তৈরির মাল মসলা বিক্রি করে তাদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে, হাসি ফুটেছে নির্মাণ কর্মীদের মুখেও। যে বা যারা ইট, বালি, সিমেন্ট, পাথরের ব্যবসা করে তাদের এখন নাওয়া খাওয়ার সময় নেই। ইটভাটা ব্যবসার সাথে যারা জড়িত তাদের মুখেও হাসি ফুটেছে কারণ বিগত তিন বছর সেভাবে তাদের ইট বিক্রি হয়নি। এক কথায় বলা যেতে পারে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে টাকা ঢোকার সাথে সাথে গ্রামে গ্রামে শুরু হয়ে গেছে কর্মযজ্ঞ। তবে বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে শাসক দল খুবই সতর্ক। কোনোভাবেই শাসকদলের কোন ব্যক্তি যাতে এই বাড়ি নির্মাণের সাথে জড়িয়ে না পড়ে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার নির্দেশ দিয়েছে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব।