অঞ্জনা বাঁচাতে পথে নদীপ্রেমীরা
ডিজি বাংলা ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫(সোমবার): মোহনা থেকে উৎস, দীর্ঘ ২৯ কিলোমিটার পথ হেঁটে নদীপ্রেমীরা প্রমাণ করে দিলেন নদীর জন্য ২৯ কিলোমিটার কেন, দরকার হলে তারা ২৯ হাজার কিলোমিটার পথ হাঁটবেন। নদীমাতৃক নদীয়া জেলার মৃতপ্রায় নদীর অন্যতম একটি নদী হল জলঙ্গীর শাখা নদী অঞ্জনা। এই অঞ্জনা নদীর নামের সাথে জড়িয়ে আছে রবীন্দ্রনাথের শিশু পাঠ্য সহজ পাঠ। সেই অঞ্জনা নদী আজ ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছে। সেই মৃতপ্রায় নদীকে বাঁচাবার উদ্যোগ নিয়েছে অঞ্জনা নদী বাঁচাও সংগঠন। আর এই পদ যাত্রায় হাঁটলেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে স্কুলের কচিকাঁচারা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সেভ জলঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে জলঙ্গীর স্বাস্থ্য ফেরাতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
সেভ জলঙ্গির পক্ষ থেকে গত শনিবার (১১-০১-২০২৫) অঞ্জনা নদীর মোহনা ব্যাসপুরে নিকট চূর্ণী নদীর তীর থেকে শুরু হয় পদযাত্রা। সকাল ৮:৩০ মিনিট নাগাদ এই পদযাত্রার সূচনা হয়। তারপর দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে বিকাল ৪ টা নাগাদ জালালখলি বাজারে পথসভার মধ্য দিয়ে এদিনের অনুষ্ঠান শেষ হয়। মাঝে মাগুর খালি, বড়কুল্লা, চন্দনদহ, বাদকুল্লা বাজার, পাতুয়া, খামার শিমুলিয়া, প্রভৃতি স্থানে জনসচেতনতামূলক প্রচার করা হয়। গতকাল রবিবার (১২-০১-২০২৫) জালালখালি বাজার থেকে পদযাত্রা শুরু করে বোয়ালিয়া বাজার, দোগাছি এবং শক্তি নগর হয়ে কৃষ্ণনগর প্রবেশ করে। কৃষ্ণনগর পৌরসভার অধীন মানিকপাড়া কালীমন্দিরের পিছনে উৎস পর্যন্ত পৌঁছে এই পদযাত্রা শেষ হয়। পদযাত্রা শেষে “সেভ জলঙ্গি” নদী বাঁচাও সংগঠনের অন্যতম কর্ণধার তথা শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ যতন রায় চৌধুরী বলেন, শুধু জলঙ্গি বাঁচালে হবে না। জলঙ্গির পাশাপাশি নদীয়ার অন্যান্য নদীগুলিকেও বাঁচাতে হবে। মাটির নিচে জলস্তর যেভাবে হু হু করে নেমে যাচ্ছে তাতে করে আগামী প্রজন্ম জলের জন্য সাফার করবে। সেটা মানুষকে বুঝতে হবে। তিনি আরো বলেন এই আন্দোলন আগামী দিনে তীব্র থেকে তীব্রতর হবে।